অর্থনীতি

ডিবেঞ্চারের সুবিধা ও অসুবিধাসমূহ

ডিবেঞ্চার একটি ঋণ পত্র যা লোন ইস্যু করার জন্য সরকার বা কোম্পানি ব্যবহার করে থাকে। একটি নির্দিষ্ট সুদের হারে এই ঋণ ইস্যু করা হয়। ডিবেঞ্চার বন্ড হিসাবেও পরিচিত। কোম্পানি তাদের উন্নয়নের জন্য অর্থ ধার করার প্রয়োজনে ডিবেঞ্চার ব্যবহার করে থাকে। ডিবেঞ্চার সাধারণত মেয়াদি ঋণের চেয়ে বেশি নমনীয়। চলুন জেনে নিই ডিবেঞ্চারের সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে।

ডিবেঞ্চার হোল্ডার
কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের সভায় ডিবেঞ্চার হোল্ডারদের ভোট দেওয়ার কোনও অধিকার থাকে না। কিন্তু তাদের পৃথক পৃথক সভায় ভোট দেওয়ার অধিকার থাকে। ডিবেঞ্চার হোল্ডারদের যে সুদ দেওয়া হয় তা কোম্পানির আর্থিক অবস্থার লাভের বিপরীতে চার্জ হিসেবে ধরা হয়।

ডিবেঞ্চারের সুবিধা ও অসুবিধা
বিনিয়োগের হাতিয়ার হিসেবে ডিবেঞ্চারের বেশ কিছু সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে। সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলো-

ডিবেঞ্চারের সুবিধা
১. নিয়মিত আয়ঃ ডিবেঞ্চারও এক ধরনের বন্ড। তাই এদেরকে বন্ডের ন্যায় ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগকারীদেরকে একটি নির্দিষ্ট হারে নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর মেয়াদ পূর্তি পর্যন্ত সুদ প্রদান করা হয়।
২. নির্দিষ্ট মেয়াদঃ ডিবেঞ্চার সাধারনত একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য ইস্যু করা হয়। তাই অনেক বিনিয়োগকারী এটিতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয়।
৩. কম ঝুঁকিঃ যারা ফিক্সড ইনকামের কম ঝুঁকি চান তাদের জন্য ডিবেঞ্চার সুবিধাজনক।
৪. মুদ্রাস্ফীতির সময়ঃ মুদ্রাস্ফীতির সময় ডিবেঞ্চার ইস্যু করা সুবিধাজনক।
৫. অপেক্ষাকৃত কম খরচঃ প্রেফারেন্স শেয়ার এবং ইক্যুইটি শেয়ারের তুলনায় ডিবেঞ্চারের খরচ অপেক্ষাকৃত কম হয়ে থাকে।
৬. লাভ অন্তর্ভুক্তঃ কোম্পানিকে ডিবেঞ্চারের সঙ্গে তার লাভ অন্তর্ভুক্ত করতে হয় না।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।
রিলেটেড লেখা
ব্যাংকিং নিউজ বাংলাদেশ (Banking News Bangladesh. A Platform for Bankers Community.) প্রিয় পাঠকঃ ব্যাংকিং বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলো নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ব্যাংকিং নিউজ বাংলাদেশ এ লাইক দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন।

ডিবেঞ্চারের অসুবিধা
১. জামানতবিহীনঃ ডিবেঞ্চারের বিপরীতে কোন সম্পদ জামানত রাখা হয় না। ফলে এটি অন্যান্য বন্ডের চেয়ে অধিক ঝুঁকিপূণ।
২. নিয়ন্ত্রণঃ যেহেতু ডিবেঞ্চারও একধরনের বন্ড তাই এটির মালিকদেরও ভোটাধিকার থাকে না। ফলে কোম্পানির পরিচালনার ক্ষেত্রে ডিবেঞ্চার মালিকরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।
৩. মুনাফা ও সম্পদে অধিকারঃ বন্ড মালিকদের সুদ পরিশোধ করার পর ডিবেঞ্চার মালিকদের সুদ পরিশোধ করা হয়। অনুরূপভাবে কোম্পানির বিলুপ্তি বা অবসায়নের সময়ও বন্ড মালিকদের আর্থিক দাবি পরিশোধের পর ডিবেঞ্চার মালিকদের পাওনা পরিশোধ করা হয়।
৪. ক্ষমতা হ্রাসঃ প্রতিটি কোম্পানির ঋণ ধার করার ক্ষমতা রয়েছে। ডিবেঞ্চার ইস্যুতে, কোম্পানির তহবিল ধারের জন্য ক্ষমতার হ্রাস পায়।
৫. ঝুঁকিঃ ডিবেঞ্চার কোম্পানির উপার্জনের উপর নির্ভর করে। যার ফলে কোম্পানির আয় হ্রাসের ঝুঁকি রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button