করোনা ভাইরাসঃ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে ব্যাংকের ক্যাশ কর্মকর্তারা
সম্প্রতি দেশে করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব ঘটেছে। আর এ কারনে সবাইকে বলা হচ্ছে ভিড় এড়িয়ে চলতে। সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত লোকদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে। সবার ক্ষেত্রে এটা সম্ভব হলেও একজন ক্যাশ অফিসারের পক্ষে তা সম্ভব নয়।
ব্যাংকার হিসেবে তাকে দৈনন্দিন অফিস করতে হচ্ছে। আর ক্যাশ অফিসার হিসেবে শাখায় আগত প্রায় সকল গ্রাহককেই সেবা দিতে হয়। এখানে কে সুস্থ আর কে অসুস্থ এটা বিবেচনা করা তার পক্ষে সম্ভব নয়।
যখন কোন গ্রাহকের টাকা উত্তলন করার দরকার হয়ে পড়ে, তখন সে তার সর্দি-কাশি জ্বরের কথা ভাবে না। সোজা ব্যাংকে চলে আসে এবং ক্যাশ অফিসার সেই ভদ্রলোকটিকে সেবা দিতে বাধ্য থাকে।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
এখানে আরো একটি ভয়ংকর বিষয়, ক্যাশ অফিসারকে সব গ্রাহকের টাকাই গুনে বুঝে নিতে হয় এবং এ কাজটি তার হাত দিয়েই করতে হয়। এভাবে সারা দিন অজস্র গ্রাহকের টাকা আদান-প্রদান করতে গিয়ে ক্যাশ অফিসারকেই সবচেয়ে বেশি ভাইরাস ঝুকিতে থাকতে হচ্ছে।
আমাদের আরো একটি ঐতিহ্যগত তথ্য আছে যে, পৃথিবীতে যত মূদ্রা আছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ময়লা থাকে আমাদের টাকায়। পুরোনো যে কোন একটি নোট যদি কেউ মুখে দেয় তবে সে নিশ্চত অসুস্থ হয়ে পড়বে। আবার টাকার অযত্নে আমরাই সেরা!
আমাদের মাছ ব্যবসায়ীরা টাকাকে টিস্যু পেপার মনে করে হাত মুছে। রিকশা চালকগণ নিজের অজান্তেই টাকাকে ঘামে জর্জরিত করেন। অন্যান্য পেশার মানুষজনও যে টাকাকে খুব একটা যত্ন করেন, তেমনটা মনে হয় না।
সেই টাকাই প্রতিদিন আমাদের ক্যাশ অফিসারদের দু‘হাতে গুনতে হয়। তাতে ভাইরাস থাকুক আর ব্যাকটেরিয়া থাকুক তাতে কার কী আসে যায়?
সুতরাং ক্যাশ অফিসারদের এ ব্যাপারে একটু বেশি সচেতন থাকতে হবে। অন্তত আগামী এক মাস ক্যাশে কাজ করতে গেলে একটু পরপর জীবানু নাশক দিয়ে হাত ধুতে হবে। কাউন্টারে বসে কোনক্রমেই নাকে-মুখে হাত দেয়া যাবে না।
এটা মনে রাখতে হবে যে, আপনার কাছে যে গ্রাহকটি তার এ্যাকাউন্টে নগদ টাকা জমা দিয়ে গেলো, সে হয়তো নিজেও জানে না, টাকার সাথে করোনা ভাইরাসটিও আপনাকে জমা দিয়ে গেলো।
লেখকঃ মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন
শাখা ব্যবস্থাপক
জনতা ব্যাংক লিমিটেড
বাতাকান্দি শাখা, কুমিল্লা