বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার

ব্যাংকের চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তারা প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইটি সুবিধা পাবেন না

ব্যাংকের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত কোনও কর্মকর্তা বা কর্মচারী নতুন করে কোনও গ্র্যাচুইটি সুবিধা প্রাপ্য হবেন না। এ কারণে চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের জন্য কোনও প্রভিডেন্ট ফান্ড সৃষ্টির প্রয়োজন নেই। তারা এরূপ সুবিধা প্রাপ্য হবেন না।

সোমবার (১৫ মে, ২০২৩) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার (বিআরপিডি সার্কুলার লেটার নং-১৫) জারি করে বাংলাদেশে কার্যরত তফসিলি ব্যাংকসমূহের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

আরও দেখুন:
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন সার্কুলার

বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে— ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা, সুশাসন এবং ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী এবং অধস্তন অন্যান্য চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের মধ্যে বয়সসীমার অসমতা দূরীকরণার্থে চুক্তিভিত্তিক নিযুক্ত কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের বয়সসীমা ৬৫ বছরে নির্ধারণ করা হয়।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

কিন্তু কতিপয় ব্যাংকে নিয়মিত চাকরির মেয়াদ সম্পন্ন হওয়ার পরও তাদের মধ্য থেকে কোনও কোনও কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে চুক্তিভিত্তিক নিযুক্তির ক্ষেত্রে তাদের নিয়মিত চাকরিকালীন জমাকৃত আগের প্রভিডেন্ট ফান্ডের ওপর সুদ হিসাবায়ন অব্যাহত রাখা হয়েছে। তাছাড়া চুক্তিভিত্তিক সময়কেও নিয়মিত চাকরির সময়ের সঙ্গে যোগ করে সর্বমোট চাকরির মেয়াদ গণনাপূর্বক তার ভিত্তিতে প্রাপ্ত সর্বশেষ বেতনের অর্থকে ভিত্তি ধরে গ্র্যাচুইটি বাবদ অর্থ পরিশোধ করা হচ্ছে, যা বিধি অনুযায়ী কোনোভাবেই প্রাপ্য নয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংক খাতে অধিকতর শৃঙ্খলা এবং সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যাংকে কর্মরত নিয়মিত কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা তাদের নিয়মিত চাকরিকাল সমাপ্ত করার পর ব্যাংকের অত্যাবশ্যক প্রয়োজনে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিযুক্তির ক্ষেত্রে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্র্যাচুইটি বাবদ প্রাপ্যতা নির্ধারণে এখন থেকে নিম্নোক্ত নীতিমালা অনুসরণ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো:

১. ব্যাংকে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের নিয়মিত চাকরিকাল সমাপ্ত হওয়ার পর চূড়ান্ত অবসরের সময় বিদ্যমান নীতিমালা অনুসরণপূর্বক প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্র্যাচুইটি বাবদ প্রাপ্য অর্থ সম্পূর্ণ পরিশোধ করতে হবে।
২. চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের জন্য কোনও প্রভিডেন্ট ফান্ড সৃষ্টির প্রয়োজন নেই এবং তারা এরূপ সুবিধা প্রাপ্য হবেন না।
৩. চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত কোনও কর্মকর্তা বা কর্মচারী নতুন করে কোনও গ্র্যাচুইটি সুবিধা প্রাপ্য হবেন না।

এছাড়া উক্ত সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো। এই নির্দেশনা অবিলম্বে ব্যাংকগুলোকে কার্যকর করতে বলা হয়েছে।

সূত্রঃ ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক
✓ বিআরপিডি সার্কুলার লেটার নং-১৫, তারিখঃ ১৫ মে, ২০২৩
✓ সার্কুলারটি দেখতে ক্লিক করুন- এখানে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button