বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন নির্দেশনা

এখন থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পুঁজিবাজারে মোট বিনিয়োগ হিসাবায়নের ক্ষেত্রে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ধারণকৃত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সব ধরনের শেয়ার, ডিভেঞ্চার, কর্পোরেট বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট এবং পুঁজিবাজারের অন্যান্য নিদর্শনপত্রের বাজারমূল্যও অন্তর্ভূক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

তবে নিজস্ব সাবসিডিয়ারি কোম্পানি বা কোম্পানিসমূহকে প্রদত্ত ইক্যুইটি, দীর্ঘমেয়াদী ইক্যুইটি বিনিয়োগ বা ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরী এবং স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর শেয়ার ওই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পুঁজিবাজার বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হবে না।

আরও দেখুন:
◾ ক্রেডিট কার্ডে ফি বা চার্জ আদায় সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন ১৯৯৩ এর ১৮ (ছ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এই নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজার কার্যক্রমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিয়োজিত নিজস্ব সাবসিডিয়ারি কোম্পানি বা সহযোগী কোম্পানিগুলোকে প্রদত্ত ঋণের স্থিতি, পুঁজিবাজার কার্যক্রমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিয়োজিত অপর কোন কোম্পানি বা কোম্পানিসমূহকে অথবা কোন স্টক ডিলারকে প্রদত্ত ঋণের স্থিতি এবং তাদের সাথে রক্ষিত তহবিলের স্থিতি (প্লেসমেন্ট বা অন্য যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন) এবং পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে গঠিত কোন তহবিলের প্রদত্ত চাঁদাও নতুন হিসাবায়নে অন্তর্ভূক্ত করা হবে।

এতে আরো বলা হয়েছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩-এর ১৬ ধারায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অন্যান্য কোম্পানির শেয়ার ধারনের সর্বোচ্চ সীমার বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে। তবে বিনিয়োগের কোন কোন উপাদান আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ‘পুঁজিবাজার বিনিয়োগ’ হিসাবে গণ্য হবে সে বিষয়ে সুষ্পষ্ট নির্দেশনা না থাকায় তা স্পষ্টীকরণের প্রয়োজনীয়তা পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাই আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পুঁজিবাজারে মোট বিনিয়োগ হিসাবায়নের ক্ষেত্রে এসব নতুন উপাদান যুক্ত করা হয়েছে।

সার্কুলার অনুযায়ী, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিবরণী প্রতি তিন মাস পরপর পরবর্তী মাসের ৭ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছক অনুযায়ী আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগে পাঠাতে বলা হয়েছে। অবিলম্বে এই নির্দেশনা কার্যকর করা হবে বলেও সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button