জেনারেল ব্যাংকিং

চেক (Cheque)-এর প্রকার সমূহ

চেকের ব্যবহার প্রাচীন কাল থেকে বিশেষ করে ৯ম শতাব্দী থেকে চলে আসছে। তবে এটি বিংশ শতাব্দীতে এসে অত্যন্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

Cheque এর প্রকার সমূহ (Classification of Cheque)
চেক প্রধানত দুই প্রকার। যথা-

আরও দেখুন:
MICR চেক কী? MICR চেকের সুবিধা ও অসুবিধা

(ক) Bearer Cheque বা বাহক চেকঃ
যে চেক যে কোন লোক ব্যাংকে উপস্থাপন করে টাকা সংগ্রহ করতে পারে, তাকে Bearer Cheque বা বাহক চেক বলে।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

Business Dictionary তে বলা হয়েছে-
Check marked ‘Cash,’ ‘The bearer’ or other words to the effect, but without the name of the entity to whom it is to be paid (its payee).
অর্থাৎ চেকটি ‘ক্যাশ,’ ‘বাহক’ বা অন্য কোন শব্দকে প্রভাবিত করে এমন শব্দ দ্বারা চিহ্নিত করা, তবে সত্তাটির নাম ছাড়া যাকে অর্থ প্রদান করা হয় (তার প্রাপককে)।

বাহক চেক এর সংজ্ঞায় C J Woelfel বলেন-
Cheques payable to bearer in bank and transferable by delivery are called bearer cheque.
অর্থাৎ ব্যাংক যে চেকের অর্থ বাহককে প্রদান করে এবং হস্তান্তর দ্বারা অর্পণ করা যায় তাকে বাহক চেক বলে।

Bearer Cheque এর সংজ্ঞায় Abdur Raquib বলেন-
The Cheque on which ‘or bearer’ is written after the name of payee is called bearer cheque.
অর্থাৎ যে চেকে অর্থ পরিশোধকারীর নামের পরে ‘বা বাহককে’ লেখা থাকে তাকে বাহক চেক বলা হয়।

এ ধরনের চেক যার কাছে থাকবে সেই চেকটির মালিক বা অধিকারী হবে। বেয়ারার চেক কেবল ডেলিভারির মাধ্যমে চেকটির মালিকানা অন্যের কাছে হস্তান্তরযোগ্য করা যায়।

বাহক চেক এর বৈশিষ্ট্যঃ
নিচে বাহক চেক এর বৈশিষ্ট্য সমূহ তুলে ধরা হলো-
১. বাহক চেকে প্রাপকের নাম উল্লেখ থাকতে পারে আবার নাও থাকতে পারে।
২. চেকটি ব্যাংকে উপস্থাপন করলে ব্যাংক টাকা দিতে বাধ্য থাকে। তখন বাহককে চেকের বিপরীত পৃষ্ঠায় স্বাক্ষর প্রদান করতে হয়।
৩. যে কেউ একে দাগকাটা বা হুকুম চেকে পরিণত করতে পারে। তখন রেখাঙ্কিত চেকটি আর বাহক চেক থাকে না।
৪. বাহক চেক সত্যায়িত করত কোন বিশেষ ধরনের নিয়ম মানতে হয় না। শুধুমাত্র হাত বদলের মাধ্যমেই এ ধরনের চেক সত্যায়িত হয়ে থাকে।
৫. এ চেকের অসুবিধা হলো, চেক চুরি হলে মালিক ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। অর্থাৎ এ চেক হারিয়ে গেলে এবং ব্যাংককে চেক হারানোর খরব দেয়ার পূর্বে চেকের টাকা পরিশোধ হলে ব্যাংকের করার কিছু থাকে না।
৬. এ চেক দ্বারা বড় অংকের লেনদেন খুব একটা হয় না।

(খ) Order Cheque বা আদেশ চেকঃ
যে চেকে নির্দিষ্ট কাউকে অথবা তার আদেশানুসারে অপর কাউকে অর্থ প্রদানের জন্য ব্যাংকের প্রতি আদেশ দেয়া হয়, তাকে Order Cheque বা আদেশ চেক বলে।

Order Cheque এর সংজ্ঞায় Abdur Raquib বলেন-
The Cheque in which ‘or order’ is written after the name of payee is called order cheque.
অর্থাৎ যে চেকে অর্থ পরিশোধকারীর নামের পরে ‘বা আদেশ’ লেখা থাকে তাকে আদেশ চেক বলা হয়।

অর্ডার চেক এর সংজ্ঞায় C J Woelfel বলেন-
A cheque presents by the bearer marked ‘Pay Order’ is called order cheque.
অর্থাৎ যে চেক প্রদানকারী কর্তৃক বাহক চিহ্নিত “আদেশানুসারে” উল্লেখ থাকে তাকে অর্ডার চেক বলা হয়।

আদেশ চেকের ক্ষেত্রে এন্ডোর্সমেন্টসহ ডেলিভারির মাধ্যমে চেকটির মালিকানা অন্যের কাছে হস্তান্তরযোগ্য করা যায়।

আদেশ চেক এর বৈশিষ্ট্যঃ
নিচে আদেশ চেক এর বৈশিষ্ট্য সমূহ তুলে ধরা হলো-
১. অর্ডার চেকে প্রাপক হিসাবে নির্দিষ্ট কারো নাম উল্লেখ থাকে।
২. চেকে যার নাম লেখা থাকে কেবল তাকে অথবা তিনি যাকে দিতে আদেশ করেন তাকেই চেকের অর্থ পরিশোধ করা যাবে।
৩. আদেশ চেকের প্রাপক চেকটিকে এন্ডোর্সমেন্ট এর মাধ্যমে হস্তান্তরযোগ্য করতে পারেন।
৪. চেক ইস্যুকারী আদেশ চেকের পেছনে স্বাক্ষর করে চেকটিকে বাহক চেকে রূপান্তরিত করতে পারেন।

বাহক ও আদেশ চেকের শ্রেণীভেদঃ
বাহক ও আদেশ চেক আবার দুই প্রকার। যথা-

(ক) Open cheque বা খোলা চেকঃ
যে চেকে কোন দাগকাটা থাকে না, তাকে Open cheque বা খোলা চেক বলে।

Open Cheque এর সংজ্ঞায় Abdur Raquib বলেন-
When a cheque is not crossed or do not bear the name of the payee and can be presented to the banker upon whom they are drawn, and paid over the counter of the bank is called “open cheque”.
অর্থাৎ যখন কোনও চেকে ক্রসিং বা পেয়ির নাম দেয়া থাকে না এবং ব্যাংকারের নিকট উপস্থাপন করা হয় এবং যে চেকের অর্থ ব্যাংকের কাউন্টারে প্রদান করা হয় তাকে “খোলা চেক” বলে।

(খ) Crossed Cheque বা রেখায়িত চেকঃ
যখন কোন চেককে হস্তান্তর এর উদ্দেশ্যে এর উপরিভাগে সমান্তরাল আড়াআড়ি দুটি রেখা টেনে দেয়া হয়, তখন তাকে Crossed Cheque বা রেখায়িত চেক বলে।

Business Dictionary তে বলা হয়েছে-
Check marked with two parallel lines drawn diagonally across its face (usually on the upper left-hand corner) with or without the words ‘& Co.’ or ‘not negotiable’ between the lines.
অর্থাৎ দুইটি সমান্তরাল রেখার সাথে চেক চিহ্নিত করা (সাধারণত উপরে বাম দিকের কোণে) ‘এন্ড কোং’ শব্দগুলো ছাড়া অথবা লাইনগুলোর মধ্যে ‘হস্তান্তরযোগ্য নয়’ উল্লেখ থাকা।

Crossed Cheque এর সংজ্ঞায় Abdur Raquib বলেন-
When two lines are drawn in parallel & transverse on the left corner of the top of any cheque is called crossed cheque.
অর্থাৎ যখন কোনও চেকের উপরের দিকে বাম কোণে দুটি লাইন সমান্তরালভাবে টানা হয় তখন তাকে ক্রস চেক বলা হয়।

PH Collin বলেন-
Crossed cheque means a cheque which has to be paid into a bank.
অর্থাৎ ব্যাংকের মাধ্যমে যে চেকের অর্থ প্রদান করা হয় তাকে দাগকাটা চেক বলে।

২ মন্তব্য

    1. আইনানুগ কোন কারণ না থাকলে এই চেয়েছে কেউ ব্যাংকে উপস্থাপনের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
      আর যদি এই চেকটি রেখাঙ্কিত করা থাকে তখন তাহলে এটি একাউন্টের মাধ্যমে জমা করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button