বিদায়ী দশকে (২০১০-১৯) বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের বেশির ভাগই আরও অনেক বেশি ধন সম্পদের মালিক হয়েছেন। ২০১০ সালের তুলনায় যাঁদের ধন সম্পদের মূল্যমান অন্ততপক্ষে ৪০ বিলিয়ন বা ৪ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের বেশি বেড়েছে, তাঁদের নিয়ে একটি তালিকা তৈরি করেছে বিশ্বখ্যাত মার্কিন ম্যাগাজিন ফোর্বস।
তালিকায় শীর্ষ দশে মূলত প্রত্যাশিত ধনীদের নামই ঠাঁই পেয়েছে। বিশেষ করে জেফ বেজোস বিবাহবিচ্ছেদের কারণে সাবেক স্ত্রী ম্যাকেঞ্জি বেজোসকে গত বছর ৩৭ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার পরও দেখা যায়, বিগত দশকে বিশ্বব্যাপী ধনসম্পদ বৃদ্ধির দিক থেকে তিনিই সবার শীর্ষে। আবার বিনিয়োগ-গুরুখ্যাত ওয়ারেন বাফেট ২০০৬ সাল থেকে এই পর্যন্ত ৩৪ বিলিয়ন ডলার দাতব্য সেবায় দান করার পরও তালিকার ৭ নম্বরে অবস্থানে রয়েছেন।
শীর্ষ ১০ জনের নিট সম্পদমূল্য বেড়েছে ৫৫৫ বিলিয়ন বা ৫৫ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। তাঁরা সবাই কোনো না কোনো কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা কিংবা দীর্ঘদিন ধরে শীর্ষ নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বা এখনো করছেন। যেহেতু তাঁদের কোম্পানিগুলো শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত, সেহেতু আয়ের সিংহভাগও এসেছে শেয়ার থেকে।
১. জেফ বেজোস
| ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
গত বছর বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিবাহবিচ্ছেদ সম্পন্ন করার পরও জেফ বেজোস দুনিয়ার সেরা ধনী। ২০১০ সালে তিনি ছিলেন বিশ্বের ৪৩তম শীর্ষ ধনী। তখন তাঁর সম্পদের নিট মূল্য ছিল ১২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। ২০১৯ সাল শেষে তিনি ১০৯ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের মালিক হন। গত ১০ বছরে তাঁর সম্পদ বেড়েছে ৯৭ দশমিক ৪ ডলার।
২. বার্নার্ড আর্নল্ট
ফ্রান্সভিত্তিক বিলাসপণ্যের কোম্পানি এলভিএমএইচের (লুইস ভুটন) চেয়ারম্যান ও সিইও বার্নার্ড আর্নল্ট বর্তমানে ১০৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের মালিক। ২০১০ সালে তাঁর ধনসম্পদের নিট মূল্য ছিল ২৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। এক দশকে তাঁর সম্পদ বেড়েছে ৮০ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার।
৩. মার্ক জাকারবার্গ
ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ ২০১০ সালে ছিলেন মাত্র ৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ধনসম্পদের মালিক। বর্তমানে তাঁর নিট সম্পদমূল্য ৭২ বিলিয়ন ডলার। গত এক দশকে তাঁর সম্পদ বেড়েছে ৬৮ বিলিয়ন ডলার।
৪. বিল গেটস
একসময় টানা প্রায় দেড় দশক বিশ্বের শীর্ষ ধনীর আসনে ছিলেন মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। বর্তমানে ১০৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের মালিক। ২০১০ সালে তাঁর সম্পদের নিট মূল্য ছিল ৫৩ বিলিয়ন ডলার। বিগত দশকে তাঁর সম্পদ বেড়েছে ৫৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার।
৫. অ্যামানসিও ওর্তেগা
স্পেনের ইনডিটেক্স ফ্যাশন গ্রুপের (চেইনশপ জারার মূল কোম্পানি) প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক চেয়ারম্যান অ্যামানসিও ওর্তেগা ২০১০ সালে ছিলেন ২৫ বিলিয়ন ডলারের মালিক। বর্তমানে তাঁর সম্পদের নিট মূল্য ৭৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। বিগত দশকে তাঁর সম্পদ বেড়েছে ৪৯ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার।
৬. ল্যারি পেইজ
২০১০ সালে ইন্টারনেট কোম্পানি গুগল ও অ্যালফাবেটের সহপ্রতিষ্ঠাতা যুক্তরাষ্ট্রের ল্যারি পেইজ ছিলেন ১৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের মালিক, যা বেড়ে ২০১৯ সালে হয়েছে ৬১ বিলিয়ন। ১০ বছরে তাঁর ধনসম্পদ বেড়েছে ৪৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার।
৭. ওয়ারেন বাফেট
২০১০ সালে বার্কশায়ার হ্যাথওয়ে কোম্পানির মালিক ওয়ারেন বাফেটের নিট সম্পদমূল্য ছিল ৪৭ বিলিয়ন। গত ১০ বছরে তাঁর সম্পদ বেড়েছে ৪১ দশমিক ৮ বিলিয়ন। বর্তমানে তাঁর নিট সম্পদমূল্য ৮৮ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। এই আয়ের ৯৮ শতাংশই এসেছে বার্কশায়ারের শেয়ার থেকে।
৮. স্টিভ ব্যালমার
মাইক্রোসফটের সাবেক সিইও স্টিভ ব্যালমারের সম্পদ মূল্য বেড়ে ২০১৯ সালের শেষে দাঁড়িয়েছে ৫৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার, যা ২০১০ সালে ছিল ১৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। এক দশকে তাঁর সম্পদ বেড়েছে ৪১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার।
৯. সের্গেই ব্রিন
২০১০ সালে ইন্টারনেট কোম্পানি অ্যালফাবেট ও গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিনের সম্পদের নিট মূল্য ছিল ১৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন, যা বেড়ে ২০১৯ সালে হয়েছে ৫৮ দশমিক ৮০ বিলিয়ন। তাঁর সম্পদ বেড়েছে ৪১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার।
১০. জ্যাক মা
চীনের শীর্ষ ধনী ২০ বছর আগে মাত্র ৬০ হাজার ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করেন ই-কমার্স কোম্পানি আলিবাবা, যিনি একসময় বেশ গরিব ছিলেন এবং শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০১০ সালে তাঁর সম্পদমূল্য ছিল মাত্র ১ দশমিক ২ বিলিয়ন, যা বর্তমানে ৪২ বিলিয়ন। ১০ বছরে তাঁর সম্পদ বেড়েছে ৪০ দশমিক ৮০ বিলিয়ন।
