ব্যাংকার

করোনায় ব্যাংকারদের ছুটি

ব্যাংকার জনগোষ্ঠী আজ চরম ঝুঁকিতে। ব্যাংকারদের সুরক্ষায় কিছু একটা হওয়া দরকার। তাই আমাদের এখনকার চাওয়া হলো এই মহামারি করোনায় ব্যাংকারদের ছুটি দেয়া প্রয়োজন। সামগ্রিকভাবে ব্যাংক বন্ধ না করে রোস্টারের মাধ্যমে ব্যাংকারদের ছুটি দেয়া প্রয়োজন। কেননা চাকরির বিধানাবলীতে বলা হয়েছে-

সংগনিরােধ ছুটি
(Quarantine Leave)
বি এস আর, পার্ট-১ এর বিধি-১৯৬
সংগনিরােধ ছুটি সম্পর্কে বি এস আর-১৯৬ এর বিধান নিম্নরূপ-

(১) সরকারী কর্মচারীর পরিবারের বা তাহার বাড়ীর কোন বাসিন্দার সংক্রামক রােগের কারণে উক্ত কর্মচারীর অফিসে আগমন নিষিদ্ধ করিয়া আদেশ জারির মাধ্যমে যে ছুটি প্রদান করা হয়, উহাই সংগনিরােধ ছুটি।

(২) এই প্রকার ছুটি মেডিকেল সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে অফিস প্রধান সর্বাধিক ২১ (একুশ) দিন পর্যন্ত এবং বিশেষ অবস্থায় ৩০ (ত্রিশ) দিন পর্যন্ত মঞ্জুর করিতে পারিবেন। সংগনিরােধজনিত কারণে ইহার অতিরিক্ত দুটির প্রয়ােজন হইলে, এই অতিরিক্ত ছুটি সাধারণ ছুটি হিসাবে গণ্য হইবে।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

(৩) এই প্রকার ছুটিকালকে কর্মকাল হিসাবে গণ্য করা হয় এবং এই সময়ে উক্ত পদে অন্য কোন লােক নিয়ােগ করা যায় না। ইহাছাড়া উক্ত ছুটি ভােগকালে সংশ্লিষ্ট কর্মচারী স্বাভাবিক নিয়মানুসারে বেতন ভাতাদি পাইবেন। (৪) এই প্রকার ছুটির মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ অফিস প্রধান।

বিশ্লেষণ: (১) গুটি বসন্ত, কলেরা, প্লেগ, টাইফাস জ্বর ও সেরিব্রোস্পাইনাল মেনেনজষ্টাটিস রােগের ক্ষেত্রে এই প্রকার ছুটি প্রদান করা যাইবে। (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং জনস্বাস্থ্য/১কিউ-৪/৩৪২, তারিখ: ২৩ এপ্রিল, ১৯৭৫)
বিশ্লেষণ: (২) এই প্রকার ছুটি, “ছুটি হিসাব” হইতে বিয়ােগ হয় না এবং নৈমিত্তিক ছুটির অনুরূপভাবে ছুটির হিসাবের জন্য এই প্রকার ছুটিকালকে কর্মকাল হিসাবে গণ্য করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button