ব্যাংকিং আইন

ব্যাংকার বহি সাক্ষ্য আইন, ২০২১

একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চদশ (২০২১ খ্রিস্টাব্দের ৫ম) অধিবেশনের গত ২৭ নভেম্বর, ২০২১ তারিখে ‘‘ব্যাংকার বহি সাক্ষ্য আইন, ২০২১ (Bankers’ Books Evidence Act, 2021)’’ পাস হয় এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৮০(২) অনুচ্ছেদ অনুসারে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ০৭ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে উক্ত বিলটিতে তাঁর সদয় সম্মতিদান করেছেন যা একই তারিখে বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় ২০২১ সালের ২৭ নং আইনরূপে প্রকাশিত হয়েছে। উল্লেখ্য, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখ থেকে ব্যাংকার বহি সাক্ষ্য আইন, ২০২১ কার্যকর করা হয়েছে এবং Bankers’ Books Evidence Act, 1891 রহিত করা হয়েছে।

“ব্যাংকার বহি সাক্ষ্য আইন, ২০২১ (Bankers’ Books Evidence Act, 2021)” (২০২১ সনের ২৭ নং আইন) ব্যাংকিং নিউজ বাংলাদেশ এর পাঠকদের সদয় অবগতির জন্য নিম্নে তুলে ধরা হলো।

ব্যাংকার বহি সাক্ষ্য আইন, ২০২১
( ২০২১ সনের ২৭ নং আইন )
[ ০৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ]

Bankers’ Books Evidence Act, 1891 রহিতক্রমে উহা পরিমার্জনপূর্বক
সময়োপযোগী করিয়া নূতনভাবে প্রণয়নের উদ্দেশ্যে প্রণীত আইন
যেহেতু Bankers’ Books Evidence Act, 1891(Act No. XVIII of 1891)
রহিতক্রমে উহা পরিমার্জনপূর্বক সময়োপযোগী করিয়া নূতনভাবে প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন
(১) এই আইন ব্যাংকার বহি সাক্ষ্য আইন, ২০২১ নামে অভিহিত হইবে।
(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

২। সংজ্ঞা
(১) বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে-
(ক) ‘আইনি কার্যক্রম (legal proceedings)’ অর্থ এই আইন বা অন্য কোনো আইন বা আইনগত দলিলের অধীন গৃহীত কোনো কার্যক্রম বা তদন্তকার্য যেখানে সাক্ষ্য প্রদান করা হয় বা প্রদান করা যাইতে পারে এবং কোনো মধ্যস্থতা বা সালিশ কার্যও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(খ) ‘আদালত’ অর্থ সুপ্রীম কোর্টসহ যে কোনো আদালত;
(গ) ‘ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর’ অর্থ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৩৯ নং আইন) এর ধারা ২ এর দফা (১) এ সংজ্ঞায়িত ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর;
(ঘ) ‘উপাত্ত’ অর্থ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৩৯ নং আইন) এর ধারা ২ এর দফা (১০) এ সংজ্ঞায়িত উপাত্ত;
(ঙ) ‘কম্পিউটার সিস্টেম’ অর্থ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৪৬ নং আইন) এর ধারা ২ এর উপ-ধারা (১) এর দফা এ সংজ্ঞায়িত কম্পিউটার সিস্টেম;
(চ) ‘কোম্পানী’ অর্থ কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এর ধারা ২ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ঘ) এ সংজ্ঞায়িত কোনো কোম্পানী;
(ছ) ‘গ্রাহক’ অর্থ এইরূপ কোনো ব্যক্তি যাহার ব্যাংকে কোনো হিসাব রহিয়াছে বা প্রকৃত সুবিধাভোগী (beneficial owner) হিসাবে যাহার পক্ষ হইতে ব্যাংকে কোনো হিসাব পরিচালনা করা হইয়াছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক, সময় সময়, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা সংজ্ঞায়িত অন্য কোনো ব্যক্তিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(জ) ‘গ্রাহকতথ্য’ অর্থ ব্যাংকার বহিতে লিপিবদ্ধ বা সংরক্ষিত গ্রাহক সম্পর্কিত তথ্য;
(ঝ) ‘প্রত্যয়িত অনুলিপি’ অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রদত্ত কোনো অনুলিপি;
(ঞ) ‘ব্যক্তি’ অর্থে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, কোম্পানী, কর্পোরেশন, সমবায় সমিতি, সংঘ, অংশীদারি কারবার, সমিতি, ফার্ম বা অন্য কোনো সংস্থা বা উহাদের প্রতিনিধি বা কোনো পেশাদার আর্থিক মধ্যস্থতাকারীও (যেমন-এজেন্ট, ট্রাস্টি, হিসাবরক্ষক, আইনজীবী বা এতদ্‌সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো পেশাজীবী) অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(ট) ‘ব্যাংক’ এবং ‘ব্যাংকার’ অর্থ-
(অ) ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৪ নং আইন) এর ধারা ৫(ণ) এ সংজ্ঞায়িত কোনো ব্যাংক-কোম্পানী এবং অন্য কোনো আইন দ্বারা বা আইনের অধীন ব্যাংক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত যে কোনো প্রতিষ্ঠানও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে; এবং
(আ) আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ধারা ২(খ) এ সংজ্ঞায়িত কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান;
(ঠ) ‘ব্যাংকার বহি’ অর্থ কোনো ব্যাংকের-
(অ) খতিয়ান বহি (ledger), দৈনিক বহি (day-book), নগদান বহি (cash-book), হিসাব বহি (account-book) এবং ব্যাংকের দৈনন্দিন কার্যে ব্যবহৃত অন্য সকল প্রকার বহি ও নথি, যাহা লিখিত আকারে, অথবা মাইক্রোফিল্ম বা ইলেকট্রনিক স্বাক্ষরযুক্ত বা তথ্য প্রযুক্তির অন্য কোনো মাধ্যমে সংরক্ষিত হয়;
(আ) যে কোনো দলিল যাহা সাধারণভাবে ব্যাংকের ব্যবসায় ব্যবহৃত হয় অথবা ব্যাংকের লেনদেন দপ্তরে নিদর্শনপত্রের নিবন্ধনবহি (register) হিসাবে ব্যবহৃত হয়, যাহা বাঁধাইকৃত বইয়ের ভলিউমরূপে অথবা লুজ শিট, পৃষ্ঠা, ফর্দ (folio) বা কার্ড আকারে সংরক্ষিত হয়;
(ই) হিসাব খোলার ফর্ম, গ্রাহকের পরিচিতিমূলক রেকড র্বা নথি; এবং
(ঈ) জামানতি দলিলাদির হস্তলিখিত পাণ্ডলিপি, টাইপকৃত বা মুদ্রিত স্টেনসিল্ড দস্তাবেজ অথবা সময় সময় ব্যবহৃত অন্য যে কোনো যান্ত্রিক বা অর্ধ-যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট দলিল এবং আলোকচিত্র বা ছায়ালিপি হিসাবে প্রস্তুতকৃত কোনো দলিল;
(ড) ‘তপশিল’ অর্থ এই আইনের তপশিল।
(২) এই আইনে ব্যবহৃত যে সকল শব্দ বা অভিব্যক্তির সংজ্ঞা প্রদান করা হয় নাই, সেই সকল শব্দ বা অভিব্যক্তি, ক্ষেত্রমত, Evidence Act, 1872 (Act No. I of 1972), Bangladesh Bank Order, 1972 (President’s Order No. 127 of 1972), ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৪ নং আইন), আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ২৭ নং আইন), কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন), ব্যাংক আমানত বীমা আইন, ২০০০ (২০০০ সনের ১৮ নং আইন), তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৩৯ নং আইন), ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৪৬ নং আইন), সমবায় সমিতি আইন, ২০০১ (২০০১ সনের ৪৭ নং আইন) এবং ‘অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ৮ নং আইন) এ যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে প্রযোজ্য হইবে।

৩। ব্যাংকার বহির প্রত্যয়িত অনুলিপি
(১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, এই ধারার অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, ব্যাংকের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপক, বিভাগীয় প্রধান বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ব্যাংকার বহির কোনো এন্ট্রির প্রত্যয়িত অনুলিপি প্রদান করিতে পারিবে।
(২) ব্যাংকার বহি লিখিত আকারে সংরক্ষিত থাকিলে, উহার কোনো এন্ট্রির প্রত্যয়িত অনুলিপি প্রদানের ক্ষেত্রে উক্ত অনুলিপির সহিত নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ উল্লেখপূর্বক একটি প্রত্যয়নপত্র থাকিতে হইবে, যথা:-
(ক) ইহা একটি অবিকল অনুলিপি;
(খ) ইহা নিত্যনৈমিত্তিক ও সাধারণ কার্যকালে প্রস্তুত করা হইয়াছে;
(গ) ইহা ব্যাংকারের কোনো একটি সাধারণ বহিতে লিপিবদ্ধ এবং অদ্যাবধি ব্যাংকারের হেফাজতে রক্ষিত আছে;
(ঘ) ইহা এইরূপ যান্ত্রিক বা ইলেকট্রনিক স্বাক্ষরযুক্ত বা অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় সংগৃহীত হইয়াছে যাহা স্বয়ংক্রিয়ভাবে উক্ত অনুলিপির যথার্থতার নিশ্চয়তা প্রদান করে; এবং
(ঙ) ইহা যে বহি হইতে প্রস্তুত করা হইয়াছে উক্ত বহি ব্যাংকের প্রথাগত স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় উক্ত অনুলিপি প্রস্তুতের পরবর্তী কোনো তারিখে ধ্বংস করা হইয়াছে বা হয় নাই।
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্রে তারিখ সহকারে ব্যাংকের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপক, বিভাগীয় প্রধান বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও দাপ্তরিক পদবি উল্লেখসহ স্বাক্ষর থাকিতে হইবে।
(৪) ব্যাংকার বহি উপাত্ত আকারে মাইক্রোফিল্ম, চৌম্বকীয় টেপ, ইলেকট্রনিক স্বাক্ষরযুক্ত তথ্য প্রযুক্তি বা তথ্য প্রযুক্তির অন্য কোনো মাধ্যমে সংরক্ষিত থাকিলে, উহার কোনো এন্ট্রির প্রত্যয়িত অনুলিপি প্রদানের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত শর্তসমূহ পূরণ করিতে হইবে, যথা:-
(ক) ইহা যে উৎস হইতে মুদ্রিত উহার বর্ণনা;
(খ) ইহা এইরূপ যান্ত্রিক বা ইলেকট্রনিক স্বাক্ষরযুক্ত বা অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় সংগৃহীত যাহা স্বয়ংক্রিয়ভাবে উক্ত অনুলিপির যথার্থতার নিশ্চয়তা প্রদান করে; এবং
(গ) ইহা যে উক্ত এন্ট্রির, তৎমর্মে ব্যাংকের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপক, বিভাগীয় প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট কম্পিউটার সিস্টেম পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি কর্তৃক একটি প্রত্যয়নপত্র প্রদান করিতে হইবে।
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্রে নিম্নলিখিত বিষয়াদি সংক্ষিপ্তরূপে অন্তর্ভুক্ত থাকিবে, যথা:-
(ক) এমন কম্পিউটার সিস্টেম যাহাতে কেবল অনুমোদিত ব্যক্তির তথ্য লিপিবদ্ধকরণ ও পরিচালনার প্রবেশাধিকার ছিল মর্মে গৃহীত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাদি;
(খ) তথ্যে অননুমোদিত পরিবর্তন চিহ্নিতকরণ ও প্রতিরোধের লক্ষ্যে গৃহীত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাদি;
(গ) কম্পিউটার সিস্টেমে যান্ত্রিক ত্রুটি বা অন্যবিধ কারণে হারানো তথ্য পুনরুদ্ধারের জন্য গৃহীত ব্যবস্থাদি;
(ঘ) কম্পিউটার সিস্টেম হইতে তথ্য বহনযোগ্য মাধ্যম হিসাবে ফ্লপি ডিস্ক, চৌম্বকীয় টেপ, পেনড্রাইভ, ডিভিডি ডিস্ক বা অন্য কোনো ডিজিটাল ডিভাইসে যে প্রক্রিয়ায় তথ্য স্থানান্তর করা হইয়াছে উহার বিবরণ;
(ঙ) তথ্য বহনযোগ্য মাধ্যমে সঠিকভাবে তথ্য স্থানান্তর হইয়াছে কিনা তাহা যাচাইয়ের পদ্ধতি;
(চ) উক্তরূপ ডিজিটাল ডিভাইস শনাক্তকরণের পদ্ধতি;
(ছ) উক্তরূপ ডিজিটাল ডিভাইস সংরক্ষণ ও হেফাজতের জন্য গৃহীত ব্যবস্থাদি;
(জ) কম্পিউটার সিস্টেমে যে কোনো প্রকারের অনধিকার প্রবেশ চিহ্নিতকরণ ও উহা প্রতিরোধে গৃহীত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাদি; এবং
(ঝ) অন্য কোনো বিষয় যাহা উক্ত কম্পিউটার সিস্টেমের যথার্থতা ও শুদ্ধতার সমর্থনের প্রমাণ বহন করে।

৪। ব্যাংকার বহির প্রত্যয়িত অনুলিপির সাক্ষ্যমূল্য
এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষ্যে, ব্যাংকার বহির যে কোনো এন্ট্রির প্রত্যয়িত অনুলিপি সকল প্রকার আইনি কার্যক্রমের ক্ষেত্রে উক্ত এন্ট্রির অস্তিত্বের আপাত গ্রহণযোগ্য সাক্ষ্য (prima facie evidence) হিসাবে গণ্য হইবে।

৫। যেক্ষেত্রে ব্যাংকের কর্মকর্তা ব্যাংকার বহি উপস্থাপনে বা সাক্ষী হইতে বাধ্য নহেন
ধারা ৭ এর অধীন গ্রাহকতথ্য প্রকাশে বাধ্য না হইলে, কোনো ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে কোনো আইনি কার্যক্রমে, যদি উক্ত ব্যাংক উক্ত আইনি কার্যক্রমে পক্ষ না হয়, কোনো ব্যাংকার বহি উপস্থাপনা করিতে অথবা আদালতের নির্দেশ বা বিশেষ আদেশ ব্যতীত উক্ত ব্যাংকার বহিতে লিপিবদ্ধ কোনো বিষয়বস্তু, লেনদেন ও হিসাব প্রমাণের জন্য সাক্ষীরূপে হাজির হইতে বাধ্য করা যাইবে না।

৬। আদালতের আদেশবলে ব্যাংকার বহি পরিদর্শন
(১) কোনো আইনি কার্যক্রমে কোনো পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এই মর্মে আদেশ প্রদান করিতে পারিবে যে-
(ক) উক্ত আইনি কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট কোনো উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে উক্ত আবেদনকারীর কোনো ব্যাংকার বহির সংশ্লিষ্ট এন্ট্রি পরিদর্শন এবং উহার অনুলিপি সংগ্রহ করিতে পারিবে; বা
(খ) ব্যাংক সংশ্লিষ্ট এন্ট্রির প্রত্যয়িত অনুলিপি, আদেশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, প্রস্তুত করিয়া উপস্থাপন করিবে, যাহার সহিত এই মর্মে একটি প্রত্যয়নপত্র থাকিবে যে, উক্ত কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো প্রাসঙ্গিক এন্ট্রি ব্যাংকার বহিতে পাওয়া যায় নাই এবং উক্ত প্রত্যয়নপত্র ধারা ৩ অনুসরণে প্রদান করা হইয়াছে।
(২) আদালত ব্যাংকের প্রতি সমন জারি করিয়া বা না করিয়া এই ধারার অধীন কোনো আদেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং আদালতের ভিন্নরূপ কোনো নির্দেশনা না থাকিলে, উক্ত আদেশ কার্যকর করিবার জন্য ৭ (সাত) কার্যদিবস পূর্বে উহা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বরাবর জারি করিতে হইবে।
(৩) এই ধারার অধীন কোনো আদেশ প্রতিপালনের জন্য প্রদত্ত সময় সমাপ্ত হইবার পূর্বে যে কোনো সময় ব্যাংক উহার ব্যাংকার বহি আদালতে উপস্থাপনের জন্য প্রদান করিতে পারিবে অথবা এইরূপ আদেশ কার্যকর না করিবার বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে আদেশ পরিপালনে যৌক্তিক প্রতিবন্ধকতার বিষয়ে কারণ দর্শানোর অভিপ্রায় ব্যক্ত করিয়া আবেদন করিতে পারিবে এবং উক্ত ক্ষেত্রে আদালত কর্তৃক পরবর্তী আদেশ প্রদান না করা পর্যন্ত পূর্বের আদেশ অকার্যকর থাকিবে।

৭। গ্রাহকতথ্য প্রকাশের অনুমোদিত ক্ষেত্র ও শর্তাবলি
(১) আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনে উল্লিখিত ক্ষেত্র ব্যতীত, ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী অন্য কোনো ব্যক্তির নিকট কোনো গ্রাহকতথ্য প্রকাশ করিবে না :
তবে শর্ত থাকে যে, তপশিলে উল্লিখিত গ্রাহকতথ্য প্রকাশের অনুমোদিত ক্ষেত্রে, গ্রাহকতথ্য প্রকাশের শর্তাবলি প্রতিপালন সাপেক্ষে, সংশ্লিষ্ট অনুমোদিত ব্যক্তি বা সংস্থার নিকট গ্রাহকতথ্য প্রকাশ করা যাইবে :
তবে আরও শর্ত থাকে যে, তপশিলে উল্লিখিত গ্রাহকতথ্য প্রাপ্তির জন্য অনুমোদিত ব্যক্তি বা সংস্থা বা সংস্থার কোনো কর্মকর্তা, তপশিলে উল্লিখিত অনুমোদিত ক্ষেত্র অথবা আদালতের সুনির্দিষ্ট আদেশ ব্যতীত, কোনো গ্রাহকতথ্য বা উহার কোনো অংশ কোনোভাবে অন্য কাহারও নিকট প্রকাশ করিবে না।
(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুযায়ী কোনো সংস্থার নিকট তপশিলে উল্লিখিত গ্রাহকতথ্য প্রকাশ করিবার ক্ষেত্রে উক্ত সংস্থার এতদুদ্দেশ্যে অনুমোদিত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট গ্রাহকতথ্য প্রকাশ করা যাইবে এবং গ্রাহক তথ্য গ্রহণকারী অনুমোদিত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়বদ্ধতা, নিয়োগকারী সংস্থাতে তাহার নিয়োগ বা কর্ম অবসান পরবর্তীকালেও বহাল থাকিবে।
(৩) ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৪ নং আইন) এর ধারা ৪৪ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ধারা ২০ এর অধীন বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ব্যাংক পরিদর্শনকালে সংগৃহীত গ্রাহকতথ্য উক্ত ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ বা তত্ত্বাবধানের জন্য প্রয়োজনীয় না হইলেও উহা গোপনীয় হিসাবে গণ্য হইবে।

৮। দণ্ড
এই আইনের ধারা ৭ এর বিধান লঙ্ঘন করিলে উহা এই আইনের অধীন একটি অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে এবং উক্ত অপরাধের জন্য দায়ী ব্যাংকের কর্মকর্তা বা কর্মচারী অনধিক ৩ (তিন) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

৯। অপরাধের আমলযোগ্যতা, জামিনযোগ্যতা ও আপসযোগ্যতা
এই আইনের অধীন অপরাধ অ-আমলযোগ্য (non-cognizable), জামিনযোগ্য (bailable) এবং আদালতের সম্মতি সাপেক্ষে আপসযোগ্য (compoundable) হইবে।

১০। অপরাধের বিচার, ইত্যাদি
(১) Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, অপরাধ সংঘটকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার লিখিত প্রতিবেদন ব্যতীত কোনো আদালত এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ করিবে না।
(২) এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের তদন্ত, বিচার, আপিল এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে।

১১। সরল বিশ্বাসে কৃত কাজকর্ম রক্ষণ
এই আইনের অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত কোনো কাজের ফলে কোনো ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিলে, তজ্জন্য ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা বা অন্য কোনো আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে না।

১২। খরচাদি
(১) এই আইনের অধীন বা উহার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, আদালতের নিকট দাখিলকৃত কোনো আবেদনের খরচ এবং আদালত কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের অধীন সম্পাদিত বা সম্পাদিতব্য কোনো কার্য বাবদ খরচ আদালতের স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতার আওতায় থাকিবে, এবং আদালত এই মর্মে আরও আদেশ প্রদান করিতে পারিবে যে, কোনো খরচ বা খরচের অংশবিশেষ ব্যাংক কর্তৃক কোনো পক্ষের অনুকূলে পরিশোধ করিতে হইবে যদি এইরূপ খরচ ব্যাংকের ত্রুটি বা ইচ্ছাকৃত বিলম্বের কারণে হইয়া থাকে।
(২) এই ধারার অধীন ব্যাংকের অনুকূলে বা ব্যাংক কর্তৃক কোনো খরচ প্রদানের ক্ষেত্রে প্রদত্ত কোনো আদেশ এমনভাবে কার্যকর করা হইবে যেন উক্ত আইনি কার্যক্রমে ব্যাংক একটি পক্ষ।
(৩) এই ধারার অধীন খরচ প্রদানের আদেশ কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কোনো দেওয়ানি আদালতে অর্থ ডিক্রি জারির মামলা দায়ের করা যাইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ-ধারার কোনো কিছুই এইরূপ খরচ পরিশোধের আদেশ কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে উক্ত আদেশ প্রদানকারী আদালতের স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতাকে খর্ব করিবে না।

১৩। তপশিল সংশোধনের ক্ষমতা
সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সময় সময়, এই আইনের তপশিল সংশোধন করিতে পারিবে।

১৪। রহিতকরণ ও হেফাজত
(১) Bankers’ Books Evidence Act, 1891 (Act No. XVIII of 1891), অতঃপর উক্ত Act বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল।
(২) উক্তরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও, উক্ত Act এর অধীন প্রণীত কোনো বিধি বা জারিকৃত কোনো আদেশ, বিজ্ঞপ্তি বা প্রজ্ঞাপন এই আইনের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষ্যে বহাল থাকিবে।
(৩) উক্ত Act এর অধীন গৃহীত কোনো কার্যধারা চলমান থাকিলে উহা এইরূপে নিষ্পত্তি হইবে যেন উক্ত Act রহিত হয় নাই।

১৫। ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ
এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, মূল বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে মূল বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।

তপশিল
[ধারা ২(১)(ড) এবং ৭ দ্রষ্টব্য]
গ্রাহকতথ্য প্রকাশের অনুমোদিত ক্ষেত্র, অনুমোদিত ব্যক্তি বা সংস্থা ও শর্তাবলি

গ্রাহকতথ্য প্রকাশের অনুমোদিত ক্ষেত্রসমূহগ্রাহকতথ্য প্রাপ্তির জন্য অনুমোদিত ব্যক্তি বা সংস্থাগ্রাহকতথ্য প্রকাশের শর্তাবলি
১। গ্রাহক, অথবা গ্রাহক মৃত হইলে তাহার মনোনীত ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ (Nominee/s) কর্তৃক, লিখিত আদেশ দ্বারা, অনুমোদিত গ্রাহকতথ্য প্রকাশ।গ্রাহক, অথবা গ্রাহক মৃত হইলে তাহার মনোনীত ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ (Nominee’s) কর্তৃক, লিখিত আদেশ দ্বারা, অনুমোদিত ব্যক্তি।
২। মৃত গ্রাহকের সম্পত্তি বিলিবণ্টন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক দপ্তরে কোনো আবেদন নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আবশ্যকীয় গ্রাহকতথ্য প্রকাশ।সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক দপ্তরের এতদ্বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
৩। নিম্নলিখিত আইনি কার্যক্রম নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গ্রাহকতথ্য প্রকাশ
() গ্রাহক একক ব্যক্তি হইলে উক্ত ব্যক্তির দেউলিয়াত্ব;
অথবা
() গ্রাহক কোম্পানী হইলে উক্ত কোম্পানীর দেউলিয়াত্ব বা অবসায়ন।
কলাম () এ উল্লিখিত উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ব্যাংক যেই সকল ব্যক্তির গ্রাহকতথ্য ব্যবহার করা প্রয়োজন মনে করে সেই সকল ব্যক্তি।
৪। নিম্নলিখিত কারণে গ্রাহকতথ্য প্রকাশ আবশ্যক হইলে
() সংঘটিত কোনো অপরাধের অনুসন্ধান বা তদন্ত বা বিচারের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় গ্রাহকতথ্য সরবরাহের জন্য কোনো আইনের সুনির্দিষ্ট বিধান অনুসারে প্রদত্ত লিখিত আদেশ বা অনুরোধ পরিপালনার্থে; অথবা
() সংঘটিত কোনো অপরাধ বিষয়ে কোনো আইনের অধীন যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট এতদ্সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ দায়ের বা প্রতিবেদন দাখিলকরণার্থে।
() সংশ্লিষ্ট কোনো আদালত বা তৎকর্তৃক অনুমোদিত কোনো ব্যক্তি;
() কোনো আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তা বা কোনো সরকারি কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা যিনি আইনের অধীন অনুসন্ধান বা তদন্ত বা মামলা পরিচালনার জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত
কলাম () এর অনুচ্ছেদ () এ উল্লিখিত কর্মকর্তাকে গ্রাহকতথ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত শর্তাবলি অনুসরণ করিতে হইবে, যথা :-
() দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ৫নং আইন) এর বিধান পরিপালনার্থে কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত অনুসন্ধানকারী বা তদন্তকারী কর্মকর্তার লিখিত অনুরোধ থাকিতে হইবে;
() Customs Act, 1969 (Act No. IV of 1969) এর বিধান পরিপালনার্থে জয়েন্ট কমিশনার অব কাস্টমস (Joint Commissioner of Customs) বা সমমর্যাদার কোনো কর্মকর্তার নিম্নে নহেন এমন কর্মকর্তার লিখিত অনুরোধ থাকিতে হইবে;
() মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৪৭নং আইন) বা সংশ্লিষ্ট সময়ে বলবৎ মূল্য সংযোজন কর আইনের অধীন সহকারী কমিশনার বা সহকারী পরিচালক পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তার লিখিত অনুরোধ থাকিতে হইবে;
() Income-tax Ordinance, 1984 (Ordinance No. XXXVI of 1984) এর বিধান পরিপালনার্থে উক্ত অধ্যাদেশের ধারা ৩ এর দফা () হইতে () পর্যন্ত উল্লিখিত কোনো আয়কর কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুরোধ থাকিতে হইবে;
() অন্যান্য ক্ষেত্রে গ্রাহকতথ্য গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাপ্রধানের অনুমোদনক্রমে জাতীয় বেতন স্কেলের পঞ্চম গ্রেডের নিম্নে নহেন, এমন কর্মকর্তার লিখিত অনুরোধ থাকিতে হইবে।
৫। এই আইন, Bangladesh Bank Order, 1972 (President’s Order No. 127 of 1972) ব্যাংক আমানত বীমা আইন, ২০০০ (২০০০ সনের ১৮নং আইন),
ব্যাংককোম্পানী আইন, (১৯৯১ সনের ১৪ নং আইন) এর বিধানসহ বলবৎ অন্য কোনো আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশ পরিপালনার্থে গ্রাহকতথ্য প্রকাশ।
বাংলাদেশ ব্যাংক বা তৎকর্তৃক অনুমোদিত বা নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি।
৬। ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৪ নং আইন) এর ধারা ১১৯ অনুসারে বিদ্যমান বা সম্ভাব্য বাণিজ্যিক লেনদেনের সহিত সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের যোগ্যতা মূল্যায়নে ব্যবহার্য গ্রাহকতথ্য প্রকাশ।বাংলাদেশে ব্যবসারত যে কোনো ব্যাংক।কেবল গ্রাহকের ঋণমান ও সাধারণ প্রকৃতির তথ্য প্রকাশ করা যাইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, হিসাব বা লেনদেনের বিবরণ প্রকাশ করা যাইবে না।
৭। কোনো বলবৎ আইনের অধীন স্থাপিত
() ক্রেডিট রেজিস্ট্রি বা ক্রেডিট ব্যুরো কর্তৃক গ্রাহকের ঋণপ্রাপ্তির যোগ্যতা মূল্যায়নের উদ্দেশ্যে তথ্য সংকলন বা প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য গ্রাহকতথ্য প্রকাশ;
() ক্রেডিট রেজিস্ট্রি বা ক্রেডিট ব্যুরোর অন্যান্য সদস্যগণের ব্যবহারের জন্য গ্রাহকতথ্য প্রকাশ।
() ক্রেডিট রেজিস্ট্রি বা ক্রেডিট ব্যুরো;
() ক্রেডিট রেজিস্ট্রি বা ক্রেডিট ব্যুরোর সদস্য কোনো ব্যাংক;
() সরকার কর্তৃক, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, অনুমোদিত কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিশ্রেণি।
() কোনো আমানতকারীর আমানত সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা যাইবে না;
() কলাম () এর অনুচ্ছেদ () অনুসারে কেবল ক্রেডিট রেজিস্ট্রি বা ক্রেডিট ব্যুরো কর্তৃক সংকলিত বা প্রক্রিয়াজাতকৃত গ্রাহকতথ্য প্রকাশ করা যাইবে।
৮। পেশাদার আইনজীবী, পরামর্শক বা উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব সম্পাদনার্থে ব্যবহার্য গ্রাহকতথ্য প্রকাশ।ব্যাংককে পরিষেবা প্রদানের জন্য চুক্তিবদ্ধ আইনজীবী, পরামর্শক বা উপদেষ্টা।পেশাদার আইনজীবী, পরামর্শক বা উপদেষ্টার নিকট দায়িত্ব সম্পাদনার্থে ব্যবহার্য প্রাসঙ্গিক তথ্য ব্যতীত অন্য কোনো গ্রাহকতথ্য প্রকাশ করা যাইবে না।
৯। আউটসোর্সিং এর অধীন ব্যাংকিং বা প্রাসঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যবহার্য গ্রাহকতথ্য প্রকাশ।ব্যাংকের সহিত সম্পর্কযুক্ত নহে এমন কোনো সেবাদানকারী তৃতীয় পক্ষ।() সেবাদানকারীর নিকট গ্রাহকের আমানত সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের পূর্বে ব্যাংক উক্ত তথ্য প্রকাশের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে অবহিত করিয়া তাঁহার সম্মতি গ্রহণ করিবে;
() সেবাদানকারীর নিকট গ্রাহকের ঋণ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের পূর্বে ব্যাংক উক্ত তথ্য প্রকাশের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে অবহিত করিবে।
১০। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৫ নং আইন) অনুসারে অনুসন্ধান ও তদন্তের নিমিত্ত গ্রাহকতথ্য প্রকাশ।() কোনো সংশ্লিষ্ট আদালত বা ট্রাইব্যুনালের (Tribunal) আদেশক্রমে কোনো আইন প্রয়োগকারী সংস্থা;
() বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট;
() মানিলন্ডারিং অপরাধের তদন্তকারী যে কোনো সংস্থা।
১১। বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধিত ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রক বা তদারকি কর্তৃপক্ষের অনুরোধকৃত বা যাচিত গ্রাহকতথ্য।বাংলাদেশের বাহিরে ব্যাংকের প্রধান নিয়ন্ত্রক বা তদারকি কর্তৃপক্ষ।() কোনো একক আমানতকারীর আমানত সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা যাইবে না;
() কোনো আইন কর্তৃক বাধ্য না হইলে বা কোনো আদালত কর্তৃক নির্দেশিত না হইলে উক্ত নিয়ন্ত্রক বা তদারকি কর্তৃপক্ষ কোনো গ্রাহকতথ্য প্রকাশ করিবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button