বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার

ব্যাংক বন্ধকী সম্পদে মালিকানা পাওয়ার পর দ্রুত বিক্রি করবে

ব্যাংকের খেলাপি ঋণের বিপরীতে বন্ধকী সম্পদে মালিকানা প্রতিষ্ঠার পর তা দ্রুত বিক্রির ব্যবস্থা নিতে হবে। বন্ধকী সম্পদমূল্য মোট পাওনার চেয়ে বেশি হলে গ্রাহককে খেলাপিমুক্ত হিসেবে সিআইবিতে রিপোর্ট করতে হবে। আর সম্পদমূল্য কম হলে অনাদায়ী অংশ আদায়ের জন্য আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে অ-ব্যাংকিং সম্পদ (নন-ব্যাংকিং অ্যাসেট বা এনবিএ) সংক্রান্ত একটি সার্কুলার (বিআরপিডি সার্কুলার নং-২২) জারি করে বাংলাদেশে কার্যরত তফসিলি ব্যাংকসমূহের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

আরও দেখুন:
◾ স্কুল ব্যাংকিং হিসাবে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা’ পরিচালিত হবে
◾ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের সংজ্ঞা নির্ধারণ

ব্যাংকের দাবি বা প্রাপ্য পরিশোধের সূত্রে অর্জিত সম্পদকে ব্যাংকের ব্যালেন্সশিটে অ-ব্যাংকিং সম্পদ হিসেবে দেখানো হয়। সাধারণত ঋণ অনাদায়ে আইনি প্রক্রিয়ায় ঋণের বিপরীতে নেওয়া জামানত বা বন্ধকী সম্পদের মালিকানা লাভ করলে এ ধরনের সম্পদ সৃষ্টি হয়।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, ঋণের বিপরীতে বন্ধকী সম্পদের মালিকানা ব্যাংকের অনুকূলে পাওয়ার পর দ্রুত তা ব্যাংকের নামে রেজিস্ট্রেশন ও মিউটেশন করে দখলী স্বত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে ঋণ সমন্বয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। কোনোভাবেই এ ধরনের সম্পদ বেশি দিন নিজ অধিকারে রাখা যাবে না। সম্পদ অর্জনের পর যত দ্রুত সম্ভব বিক্রি করে ঋণ সমন্বয় করতে হবে। তবে প্রয়োজন হলে ওই সম্পদ সম্পূর্ণ বা আংশিক নিজস্ব কাজে ব্যবহার করা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button