বাংলাদেশ ব্যাংক

ফিচের রেটিংয়ে ‘বিবি মাইনাস’ পেল বাংলাদেশ

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ঋণমানকে ‘বিবি মাইনাস’ হিসেবে অভিহিত করেছে আন্তর্জাতিক ঋণমান নির্ণয়কারী সংস্থা ‘ফিচ’। এর অর্থ হলো দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মুদ্রায় ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান স্থিতিশীল।

মঙ্গলবার (৯ জুন) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েব সাইটে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। এর আগে রোববার ফিচের পক্ষ থেকে এ তথ্য দেওয়া হয়। এর আগেও একাদিকবার বাংলাদেশকে এ মান দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে ফিচের এই ঋণমান নির্ণয়ের ক্ষেত্রে করোনা ভাইরাসের প্রভাব বিবেচনায় নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।

আন্তর্জাতিক ঋণমান নির্ণয়কারী সংস্থা ফিচের প্রতিবেদনে উল্লেখিত বেশিরভাগ তথ্য গতবছরের শেষ দিকের। এতে স্থিতিশীল ঋণমানের অন্যতম কারণ হিসেবে ভালো জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং স্বস্তি দায়ক বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া বৃহৎ ও তরুণ জনসংখ্যার দেশ হিসেবে তুলনামূলক কম মজুরি দিয়ে কাজ করানোর সুযোগ এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সময় মতো ঋণ পরিশোধের কথা বলা হয়েছে।

খারাপ দিকের অন্যতম হিসেবে দুর্বল ব্যাংক খাতের কথা উঠে এসেছে। বিশেষ করে ব্যাংক খাতে সুশাসনের ঘাটতির কারণে নানা কেলেঙ্কারি এবং উচ্চ খেলাপি ঋণের কথা তুলে ধরা হয়েছে। আর ব্যবসায়িক পরিবেশের দুর্বল অবস্থা, রাজনৈতি ঝুঁকির কথা উঠে এসেছে। এছাড়া রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে ধীর গতি, রাজস্ব আদায়ে খারাপ অবস্থার কারণে বাজেট ঘাটতিসহ নানা দুর্বলতা তুলে ধরেছে সংস্থাটি।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছরের বাজেটে সরকারের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্র ৮ দশমিক ১০ শতাংশ ধরা হলেও ফিচ পূর্বাভাস দিয়েছে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। আর আগামী অর্থবছর তা ৭ দশমিক ২০ শতাংশ হবে। যদিও করোনা ভাইরাসের প্রভাবের ফলে বাংলাদেশ বাংক মনে করে চলতি অর্থবছরে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ১২ শতাংশের মতো অর্জিত হতে পারে।

প্রতিবেদনে গতবছরের নভেম্বরের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের তথ্য উল্লেখ করে এটিকে স্বস্তিদায়ক বলা হয়। তখন রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে রিজার্ভ ৩৪ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button