ব্যাংক গ্রাহক

ব্যাংকে নগদ টাকা জমা ও উত্তোলনে গ্রাহকদের সচেতনতা জরুরি

মোশারফ হোসেনঃ সম্প্রতি ব্যাংক শাখার ভেতরে ও আশপাশে গ্রাহকদের টাকা ছিনতাই ও প্রতারণার একাধিক ঘটনা শুনেছি এবং পত্রিকায় এমন আরও কয়েকটি ঘটনা পড়েছি। এসব ছিনতাই বা প্রতারণার প্রায় প্রতিটি ঘটনাতেই আমার মনে হয়েছে, ছিনতাইকারী বা প্রতারকের কৌশলের চেয়ে ব্যাংক গ্রাহকদের বোকামি ও অসচেতনতাই মূল কারণ হিসেবে কাজ করেছে। নিজে ব্যাংকার হওয়ার সুবাদে ব্যাংক গ্রাহকদের এসব ‘বোকামির জন্য দণ্ড’ আমাকে পীড়া দেয়। তাই ব্যাংকে নগদ টাকা জমা ও উত্তোলনে গ্রাহকদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এ লেখাটি লিখছি।

ছিনতাইকারী বা প্রতারকরা গ্রাহকদের টাকা ছিনতাইয়ে বিভিন্ন রকমের কৌশল ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে ডেয়ারিং ও ফিল্মি স্টাইলে যেসব ছিনতাই হয়ে থাকে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ব্যাংকের আশপাশে প্রাইভেট কার নিয়ে ওতপেতে থাকে কয়েকজন। তাদের ছিনতাই গ্যাংয়ের দু-একজন সাধারণ গ্রাহকের মতো ঢুকে পড়ে শাখার ভেতরে।

আরও দেখুন:
ব্যাংকে রেখে যাওয়া মৃত ব্যক্তির আমানত কে পাবে?
ব্যাংক গ্রাহকের মৃত্যুতে উত্তরাধিকারী ও নমিনী কর্তৃক টাকা উত্তোলনের নিয়ম
মৃত ব্যক্তির হিসাবে গচ্ছিত টাকা কে পাবে নমিনী নাকি ওয়ারিশ?

ক্যাশ কাউন্টারের পাশে দাঁড়িয়ে বা অন্য সেবার জন্য অপেক্ষমাণ গ্রাহকের ভান করে দেখে নেয় কে কত টাকা তুলছেন। কেউ বেশি টাকা তুললেই টার্গেট করে তাকে। তার সম্পর্কে ফোনে জানিয়ে দেয় বাইরে অপেক্ষমাণ ছিনতাই গ্যাংয়ের অপর সহযোগীদের। ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে ওই গ্রাহক বের হলে পথে ওই গ্রাহককে ছিনতাইকারী গ্যাং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে নেয়। পরে ব্যাংক থেকে উত্তোলিত টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ছেড়ে দেয় রাস্তায়।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

এ রকম একাধিক ঘটনা জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে জেনেছি। তবে শুধু টাকা ছিনতাই নয়; মারধর, রক্তপাত, এমনকি প্রাণনাশের ঘটনাও ঘটছে। কদিন আগেই ঋণের কিস্তি আদায় করে অফিসে ফেরার পথে বেসরকারি এনজিও আশা’র একজন মহিলা কর্মীর হাতের কব্জি কেটে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। পথিমধ্যে এসব ছিনতাইয়ের ঘটনা নতুন নয়। টাকা বহনকারী ব্যক্তিরা এসব ছিনতাইয়ের সম্ভাবনা সম্পর্কে অবগত আছেন এবং যথাসম্ভব সতর্কও থাকেন। কিন্তু এরপরও দিবালোকে এসব ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে।

আরেক ধরনের নীরব ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন কেউ কেউ ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ভেতরেই। এখানে ছিনতাইকারী বা প্রতারকরা কোনো বন্দুক, পিস্তল, ছুরি বা অস্ত্রের কোনো প্রদর্শন করে না, কেবল নিজেদের এক ধরনের কূটকৌশল আর গ্রাহকদের বোকামি এবং অসচেতনতাকে কাজে লাগিয়েই প্রতারকরা এসব ছিনতাই বা প্রতারণা করে যাচ্ছে। অনেকেই এসব ছিনতাইয়ের কৌশল সম্পর্কে অবগত নয়। কারণ সবাই ভাবে, ব্যাংকের ভেতরে বন্দুকধারী নিরাপত্তা প্রহরী আছে, সিসি ক্যামেরা আছে, আছে অ্যান্টি-থেফট অ্যালার্ম। তাই ব্যাংকের ভেতরে এসব ঘটনার শঙ্কা নেই! কিন্তু ব্যাংকের ভেতরে বন্দুকধারী নিরাপত্তাপ্রহরী, সিসি ক্যামেরা, অ্যান্টি-থেফট অ্যালার্ম থাকা সত্ত্বেও প্রায়ই দিনদুপুরে লোকচক্ষুর সামনে থেকেই টাকা ভাগিয়ে নিয়ে যায় ছিনতাইকারী বা পেশাদার প্রতারকরা।

তাই ব্যাংকের ভেতরে গ্রাহক সেজে থাকা ছদ্মবেশী ছিনতাইকারী ও প্রতারকদের সংস্পর্শ থেকে সাবধান থাকা প্রয়োজন। কারণ যেসব জায়গায় আর্থিক লেনদেন হয়, সেসব জায়গায়, বিশেষ করে ব্যাংকের ভেতরে এবং আশেপাশে ছদ্মবেশী ও পেশাদার প্রতারকরা ওতপেতে থাকতে পারে। তাই এসব ছদ্মবেশী প্রতারকদের সংস্পর্শ থেকে সাবধান থাকতে ব্যাংক গ্রাহকদের সতর্কতা ও সচেতনতা জরুরি। যেমন-

চ. আপনার টাকা আপনি নিজে গুনবেন। অপরিচিত কাউকে আপনার টাকা গুনতে দিবেন না।ক. শুধু ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টারের ভেতরে দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্যাশ কর্মকর্তাদের কাছেই টাকা জমা করবেন।
খ. ব্যাংকের ক্যাশ কর্মকর্তা বাদে ব্যাংকের অন্য কোনো কর্মকর্তা বা স্টাফ অথবা ব্যাংকে অবস্থান করা অন্য কোনো ব্যক্তির কাছে কোনো টাকা জমা করবেন না।
গ. টাকা জমা করিয়ে দেয়ার নাম করে অপরিচিত ব্যক্তি বা প্রতারকদের হাতে টাকা প্রদান করবেন না।
ঘ. ব্যাংকে আসার পর আপনার চেক, রেমিট্যান্স ভাউচার, রেমিট্যান্স পে-অর্ডার বা উত্তোলন ভাউচার দিয়ে আপনি নিজেই ক্যাশ কাউন্টারে দাঁড়িয়ে টাকা তুলুন।
ঙ. অপরিচিত কেউ আপনার টাকা উত্তোলন করে দেয়ার কথা বললে কখনও আপনার চেক, রেমিট্যান্স ভাউচার, রেমিট্যান্স পে-অর্ডার বা উত্তোলন ভাউচার তার হাতে দেবেন না। কেউ এমন প্রস্তাব করলে ওই ব্যক্তিকে আটকে পুলিশে দিতে সহায়তা করবেন।

ছ. অপরিচিত কাউকে ভাঙতি দিতে গিয়ে বিপদে পড়বেন না, কারণ ভাঙতি নেয়ার নাম করে প্রতারক আপনাকে জাল টাকা দিয়ে আপনার আসল টাকা নিয়ে যেতে পারে, অথবা আপনাকে কম টাকা দিয়ে আপনার বেশি টাকা নিয়ে যেতে পারে।
জ. ব্যাংকে এসে ব্যাংকের ক্যাশ কর্মকর্তা ছাড়া অপরিচিত অন্য কারও সঙ্গে টাকার কোনো প্রকার বিনিময় করবেন না।
ঝ. আপনার টাকা কাউন্টারের ওপর বা টেবিল কিংবা সোফার উপর অরক্ষিত রেখে বা অপরিচিত কারও হাতে দিয়ে এদিক-ওদিক সরে যাবেন না।
ঞ. টাকা জমা করতে ব্যাংকে গিয়ে টাকার ব্যাগ পায়ের কাছে বা চেয়ার কিংবা টেবিলের নিচে রাখবেন না। সবসময় নিজের হাতে শক্ত করে ধরে রাখবেন, নিজের দৃষ্টিতে রাখবেন।

ট. জমা স্লিপ লেখার সময়ও টাকার বান্ডিল/ ব্যাগের প্রতি নজর রাখবেন। কারণ আপনি একটু অন্যমনস্ক হলে বা জমা স্লিপ লেখায় ব্যস্ত হয়ে পড়ার ফাঁকেই আপনার টাকার ব্যাগটি নিয়ে কেউ কৌশলে সরে যেতে পারে। প্রতারক এ সময় কৌশলে টাকার ব্যাগ কেটেও টাকা সরিয়ে নিতে পারে।

ঠ. আপনি টাকা জমা দেয়ার জন্য যখন কাউন্টারে দাঁড়িয়ে আছেন, তখন হঠাৎ কেউ যদি বলে ওঠে যে, ‘নিচে আপনার টাকা পড়ে গেছে’; অথবা যদি বলে ওঠে যে, ‘নিচে কার টাকা পড়ে আছে?’ বা ‘নিচে আপনার টাকা পড়ে আছে নাকি?’ তাহলে বুঝতে হবে, এটা প্রতারকের কৌশল হতে পারে। কারণ প্রতারক নিজেই আপনার পায়ের কাছে কৌশলে আপনার অজান্তে কিছু টাকা ফেলে দিয়ে ‘আপনার টাকা পড়ে গেছে’ এমনটা বলে আপনার দৃষ্টি ও মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে কাউন্টারের ওপরে রাখা আপনার টাকা নিয়ে সটকে পড়তে পারে। তাই এমন পরিস্থিতিতে সাবধান থাকবেন এবং সত্যিই যদি আপনার টাকা নিচে পড়ে গিয়ে থাকে, তাহলে নিচে তাকানোর আগে এবং নিচে নুয়ে পড়ে যাওয়া টাকা কুড়ানোর আগে নিজের আরেক হাতের বা কাউন্টারের ওপর থাকা টাকাগুলো হেফাজত করবেন।

ড. ফ্রেশ হতে কিংবা টয়লেট করতে ব্যাংকের বাথরুমে ঢোকার সময়ও আপনার টাকার ব্যাগ আপনার নিজের সঙ্গেই রাখবেন। ভুলেও নিজের টাকার ব্যাগ অপরিচিত কারও কাছে দিয়ে বাথরুমে ঢুকবেন না।

ঢ. টাকা নিয়ে ব্যাংক থেকে বের হওয়ার সময়ও প্রতারক বিভিন্নভাবে আপনার মনোযোগ অন্য দিকে ঘুরিয়ে আপনার টাকা লুটে নিতে পারে। যেমন, প্রতারক আপনাকে বলতে পারেÑআপনার টাকা পড়ে গেছে, আপনার কাপড়ের পেছনে ময়লা/পায়খানা লেগেছে। এসব বলে আপনার দৃষ্টি এবং মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে দিয়ে আপনার হাতের টাকার ব্যাগ হেঁচকা টানে নিয়ে যেতে পারে। এসব ফাঁদে কখনোই পা দেবেন না। টাকা নিয়ে বাসায় যাওয়ার আগ পর্যন্ত খুব সাবধান থাকবেন। নিজের টাকার ব্যাগ সবসময় অত্যন্ত সাবধানে এবং শক্তভাবে ধরে রাখবেন।

ণ. মনে রাখবেন, প্রতারকরা সাধারণত সহজ-সরল মহিলাদের টার্গেট করে থাকে। তাই মহিলা গ্রাহকদের অধিকতর সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করছি।

ত. যারা অসুস্থ, বয়স্ক বা যারা টাকা গুনতে বা হিসাব করতে সমর্থ নন, তারা পারতপক্ষে টাকা জমা বা উত্তোলন করতে না আসাই ভালো। যদি আসতেই হয়, তাহলে নিজের সঙ্গে পরিচিত কাউকে নিয়ে আসবেন, অথবা ব্যাংকে এসেই সরাসরি ব্যাংক ম্যানেজারের সহায়তা নিন।

থ. সাম্প্রতিক সময়ে মোটরসাইকেল এবং বাইসাইকেল চুরিরও ঘটনা ঘটছে। যারা নিজস্ব মোটরসাইকেল বা বাইসাইকেল নিয়ে ব্যাংকে আসেন, তারা চেষ্টা করবেন সঙ্গে পরিচিত কাউকে সঙ্গে নিয়ে আসতে, যাতে আপনি ব্যাংকে অবস্থানকালে আপনার সঙ্গেরজন আপনার মোটরসাইকেল বা বাইসাইকেলটি পাহারা দিতে পারে। অথবা চেষ্টা করবেন, আপনার মোটরসাইকেল বা বাইসাইকেলটি পরিচিত কারও কাছে রেখে তারপর ব্যাংকে আসতে।

দ. ব্যাংকের সিসি ক্যামেরা প্রতারকের প্রতারণা এবং গ্রাহক যেভাবে প্রতারণার শিকার হয়েছেন সে দৃশ্য/ভিডিও ফুটেজ ধারণ করতে পারে মাত্র। প্রতারককে আটকাতে বা প্রতারকের পরিচয় শনাক্তে সরাসরি কোনো ভূমিকা পালন করে না। প্রতারকরা সাধারণ গ্রাহক সেজেই ব্যাংকে অবস্থান করে, আর প্রতারিত গ্রাহকরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রতারণার সঙ্গে সঙ্গেই টের পায় না। যখন বুঝতে পারে যে, তার টাকা ছিনতাই হয়েছে, ততক্ষণে প্রতারক ব্যাংক থেকে বেরিয়ে নিরাপদ দূরত্বে চলে যায়। তাই তখন ব্যাংকের নিরাপত্তাপ্রহরীদেরও আর কিছুই করার থাকে না। আর সিসি টিভির ফুটেজ দেখে প্রতারকের চেহারা শনাক্ত করা গেলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায় না; কারণ, প্রতারকরা অত বোকা নয় যে, তারা নিজ এলাকায় প্রতারণা করবে। তারা নিজ এলাকার বাইরের কোনো এলাকায় যেখানে কেউ তাদের চিনতে পারবে না, এমন এলাকায় প্রতারণা করে।

ধ. অর্থ খোয়া গেলে এরপর ডিজিটাল ধাওয়া দিয়ে প্রতারককে ধরা কঠিন বিষয়। পুলিশ পর্যন্ত গেলে হয়তো একটা বিহিত হতে পারে, তবে সেটার জন্য আপনাকে একটা বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেতে হবে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কাক্সিক্ষত ফলাফল আসে না। তাই ব্যাংকের পাশাপাশি আপনার নিজের সাবধানতাই পারে আপনার অর্থের সুরক্ষা দিতে।

ন. অনেকে এসব ক্ষেত্রে ব্যাংককে দোষারোপ করে ব্যাংকের স্কন্ধেই দায় চাপাতে চায়। ‘ব্যাংকের ভেতরে টাকা ছিনতাই হয়েছে, তাই ব্যাংকই ছিনতাই হওয়া টাকার ক্ষতিপূরণ দেবে’ এমনটা দাবি করে ব্যাংকের ভেতরে হৈচৈ ফেলে হট্টগোল পাকিয়ে ব্যাংকের বিরুদ্ধে একটা নিউজ করিয়ে ব্যাংকের সুনামের হানি ঘটাতে চান। এমনটা করা অনুচিত। কারণ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেই ব্যাংকিং করে থাকে।

তবে পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মতো সাঁড়াশি নিরাপত্তাব্যবস্থা দেওয়াও ব্যাংকের পক্ষে নিশ্চয় সম্ভব নয়। আর ব্যাংক আপনাকে ক্ষতিপূরণ দেবে তখনই, যদি ব্যাংকের কোনো ভুলে আপনার টাকা বেহাত হয়। আপনার নিজের বোকামি বা অসতর্কতার জন্য যদি আপনার টাকা ছিনতাই হয় বা হারিয়ে যায়, তার দায় কখনোই আপনি ব্যাংকের ওপর চাপাতে পারবেন না।

মোটকথা, আপনার ব্যাংকিংকে নিরাপদ ও নির্ভাবনাময় করতে ব্যাংকের পাশাপাশি আপনাকেও সতর্ক ও দায়িত্বশীল হতে হবে।

লেখকঃ মোশারফ হোসেন, শাখা ব্যবস্থাপক, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড, পাকুন্দিয়া শাখা, কিশোরগঞ্জ। লেখক একজন স্বনামধন্য ব্যাংকার, কলামিস্ট ও ফ্রিল্যান্স লেখক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button