ব্যাংক ক্যারিয়ারব্যাংক ক্যারিয়ার টিপস

চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩০ থেকে ৩৫ করা হোক

বয়স বেড়ে গেলে নাকি বুদ্ধি ও কর্ম দক্ষতা কমে যায়! হয়তোবা এই কথার সত্যতা প্রমাণের জন্যই আপনারা অনেকে পোস্টটি না পড়েই কমেন্ট ও লাইক করবেন। আমি আন্তরিকভাবেই সেই পৌড় ব্যক্তিদের জন্য দুঃখিত।

আপনাদের লাইক ও কমেন্টের জন্য পোস্টটি দিচ্ছি না। যদি আসলেই মনে করেন এখনও বুড়ো হয়ে যাননি, তাহলে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। কমেন্ট ও লাইক লাগবে না, যা বলা আছে তা পড়ে বুঝলেই আমি খুশি হবো।

আমরা সবাই চাই চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩০ থেকে ৩৫ হোক। সেই দাবি পূরণের উদ্দেশ্যে সেই ২০১২ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছি। যখনি যেভাবে পারি কাজ করে যাচ্ছি। আমার ফোনগুলো যতো না নিজের জন্য ব্যবহার হয়, তার চেয়ে বেশি, এই উদ্দেশ্যেই ব্যবহার হয়।

আপনারা অনেকেই কমেন্ট দেন “এইটা করা উচিৎ, ওই টা করলে ভাল হয়”। আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন, আমাদের কি কোন ব্যক্তিগত জীবন নেই ? আমরা কি কিছু চিন্তা করি না? একটা পোস্টে লাইকের হিসাব থাকে না, কিন্তু যখন নাম্বার চাওয়া হয়, কেউ দেন না।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

একটা প্রোগ্রামে ১,০০০ মানুষ একদিন আসলেই হয়ে যায়, কিন্তু কয়জন আসে? কয়দিন আগে দেখলাম একজন কমেন্ট দিয়েছেন ” আমি আসতে পারব না, কিন্তু সমর্থন করি”, আবার তিনি আর এক পোস্টে (অনশন পোস্ট) এ কমেন্ট করেছেন “ঠিক”।

তার কাছে প্রশ্ন, আপনার বাধ্যকতা আছে, আমাদের কি নেই? আপনার ভয় আছে, আমাদের নেই? ব্যাপার কি এই রকম হলো না, আমার সন্তান থাকুক দুধে-ভাতে, যুদ্ধে যেয়ে যুদ্ধ জয় করবে আর একজনের সন্তান, বুক খালি হলে, খালি হবে তার। আমি শুধু চাই যুদ্ধ জয়ের আনন্দটা।

আমরা গত কদিন ধরে একটি পোস্ট দিয়েছি আপনাদের নাম্বার চেয়ে। নাম্বার দিয়েছেন মাত্র ৭৩ জন। যদি গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ৫০,০০০ও ধরি, তাও তা হয় ০.১৪৬%। পোস্টে কমেন্ট পরে প্রায় ২,০০০। প্রোগ্রামে অংশ নেয় ৪ জন, যা কি না ০.২%। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন আমরা পৌড়, যারা কি না বাসায় বসে থেকে অনেক উপদেশ দেয়, কিন্তু কিছু করতে ভয় পায়। অনেকেই বলেন এইটা করেন, কিন্তু সবাই রাস্তায় আসতে ভয় পায়।

আপনাদের প্রতিদিনের পোস্টগুলোতে যে পরিমাণ উপদেশ আপনারা আমাদের দেন, আমরা কি আপনাদের হুকুমই তামিল করব? আমাদের ব্যক্তিগত জীবন বলতে কি কিছু নাই ? কার জন্য করবো? একদল ভীরু- কাপুরুষ যারা কি না ফেইসবুকের আড়ালে লুকিয়ে থাকতে চায়? ভাই, আমাদেরও পেট আছে, পরিবার আছে, জীবিকার তাগিদ আছে।

আমাদেরও ভয় হয়, কিন্তু ফেসবুকের আড়ালে বসে থেকে কখনো কিছু হবে না। মনে হচ্ছে, এখনো একদল ভীরু ফেইসবুকার’কে বিনোদন না দিয়ে নিজের জীবিকার পেছনে দৌড়ানো উচিত, বিনোদনের জন্য ফেইসবুকে অনেক গ্রুপ আছে, এই যেমন DSD, DSE । ঐ পেজগুলোতে আপনারা আরও ভাল বিনোদন পাবেন, তাও রিস্ক ছাড়া।

এখন সময়টি স্পর্শকাতর, আপনারা যদি এখনো ঘরে বসে মনে করেন পঁয়ত্রিশ বছর আপনার ফেইসবুক কমেন্ট আর লাইকে হয়ে যাবে, তাহলে ভাই বলতে হয় আপনার ভাই আমেরিকা’তেই জন্মানো উচিত ছিল, ভুল করে বাংলাদেশে জন্মেছেন। এখানে কোন কিছুই রাজপথে আন্দোলন ছাড়া হয় না। আর রাজপথের আন্দোলন শুধু বুঝে মাথা। সে বুঝে না, আপনার দরকার, সে বুঝে না আপনার ও সময়ের চাহিদা।

এই রাজপথের নেই কোন ইন্টারনেট, নেই কোন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, সে বুঝে না ফেসবুকের লক্ষ লক্ষ কমেন্ট, সে শুধু একটা জিনিস পারে। সে শুধু পারে মাথা গুনতে। তার দৃষ্টিতে ১০-২০ টা মাথা ঝাপসা অবয়ব, শত মানুষ তার চোখে আকৃতি এবং হাজার হাজার মানুষ তার গণনার বিষয়।

অাপনারা আমাদের পোস্টে কমেন্ট করেন, লাইক দেন। কিন্তু এর থেকে বেশি ফলপ্রসূ হতো না, যদি আপনারা এই কমেন্টগুলো বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় দিতেন, তুলে ধরতেন আমাদের কথা? যেমন ধরুণ, গত ২১, ২৩শে নভেম্বর প্রথম আলো আমাদের দাবি নিয়ে জরিপ করলো, সম্পাদকীয় প্রকাশ করলো, আজ যমুনা টেলিভিশন খবর করলো।

আপনাদের কি মনে হয় না, একটা পেইজে কমেন্ট ও লাইক দেওয়ার থেকে পত্রিকা ও চ্যানেলগুলোতে মতামত দিলে, তারা আরো বেশি আগ্রহী হবে আমাদের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে। কোন একটা খবরে যদি কোন পত্রিকার বিক্রি বেরে যায়, তখন ঐ পত্রিকা কি করবে ?

সৌজন্যেঃ সঞ্জয় দাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button