খেলাপি ঋণব্যাংক গ্রাহক

ভালো ঋণখেলাপি গ্রাহক যেমন হওয়া উচিত

মোশারফ হোসেনঃ একজন ব্যাংকার হিসেবে বিভিন্ন ধরনের গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলতে হয়। সবাই যে আমার ব্যাংকের গ্রাহক, তা নয়। গত ১৪ নভেম্বর একজন ব্যাংক গ্রাহক আমাকে ই-মেইল করেন। এটি পেয়ে আমার মনে হলো ‘ভালো ঋণখেলাপি গ্রাহক’ বলে যদি কোনো গ্রাহক থাকেন, তিনি সে পর্যায়ভুক্ত। আজ ওই গ্রাহককে নিয়ে লিখছি। হয়তো কেউ এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাবেন …।

আসসালামু আলাইকুম, ‘স্যার! আমি আপনার ই-মেইল ঠিকানাটা পেয়েছি গুগল থেকে। স্যার, আমি এবিসি ব্যাংক (মূল নাম নয়) থেকে অনেক বছর ধরে ঋণ নিয়ে আমার দোকান পরিচালনা করি এবং নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করতাম। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে আমার দোকানঘর ও দোকানের সব মালামাল পুড়ে যায়। এখন আমি নিরুপায়, কিস্তি পরিশোধ করতে পারি না। ব্যাংক আমার নামে চেক জালিয়াতির মামলা করবে বলে আমাকে অনেক চাপ দিচ্ছে। স্যার, আমাকে একটু পরামর্শ দেন। স্যার, আমার তিনটা ছেলেমেয়ে ছোট ছোট। স্যার, আমার সামনে আত্মহত্যা ছাড়া বিকল্প কোনো রাস্তা নাই। স্যার, আমাকে একটু পরামর্শ দেন। আমার মোবাইল নং- ০১৯……।’

আমি মনস্তাত্ত্বিক নই, আইনজ্ঞও নই। তবুও বিপদগ্রস্ত ঋণগ্রহীতা গ্রাহক আমার কাছে তার করুণ অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় ও করণীয় জানতে চেয়ে আমাকে এই মেইলটি করেছেন। একজন ব্যাংকার হিসেবে ঋণখেলাপি কাউকে ঋণ পরিশোধ না করে পার পেয়ে যেতে আমি সহায়তা করতে পারি না, আর সে সুযোগও নেই। তবে যারা ভালো ঋণগ্রহীতা কিন্তু অনিচ্ছাকৃত ও অনিয়ন্ত্রণযোগ্য পরিস্থিতির কারণে ঋণখেলাপি, তাদের কাছ থেকে ঋণ আদায় নীতিতে ব্যাংকারদের আইনি কাঠিন্যে কিছুটা শিথিলতা স্বাভাবিক এবং দরকারিও বটে। আর সে জন্য খেলাপি ঋণগ্রহীতার কাছ থেকেও সহযোগিতাপূর্ণ আচরণ দরকার।

খেলাপি হলেও একজন ঋণগ্রহীতাকে ব্যাংকারের কাছে তার খেলাপি হওয়ার প্রকৃত কারণ স্বীকার করার পাশাপাশি ব্যাংকের প্রতি সবসময় ইতিবাচক মনোভাব দেখানো উচিত। সেটা কীভাবে সম্ভব? সেই কৌশলগুলোই ওই গ্রাহক ভাইকে বলার চেষ্টা করেছি আমি। তাকে দেয়া আমার পরামর্শগুলো পাঠকদের জন্যও তুলে ধরছি, যেখানে আমি বলার চেষ্টা করেছি- ঋণগ্রহীতারা খেলাপি হয়েও ব্যাংকের সঙ্গে কীভাবে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারেন এবং ব্যাংকের কাছ থেকে সহানুভূতি ও সহযোগিতা আদায় করতে পারেন।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

দুই. আমি যতদূর জানি, এবিসি ব্যাংক ঋণের বিপরীতে গ্রাহকের ব্যবসার স্টকের অগ্নিবীমা করিয়ে তারপর ঋণ দেয়। তাই আপনি বিমা কোম্পানি থেকে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কথা। তবে সেটা অগ্নিকাণ্ডের পরক্ষণেই দাবি করতে হয়। এ বিষয়ে আপনি ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলুন এবং তাদের সহযোগিতা চান। এখানে উল্লেখ্য, আমাদের অনেক ঋণগ্রহীতারাই ঋণের বিপরীতে বিমা করাতে আগ্রহী নন, কারণ তাদের মধ্যে একটা অতিবিশ্বাস কাজ করে যে, তাদের দোকান বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কখনও আগুন লাগবে না। তাই তারা বিমা করে প্রতি বছর প্রিমিয়াম পরিশোধের অযাচিত খরচ করতে চান না। যারা বিমা করান, তারা আবার ব্যাংকে নিয়মিত স্টক রিপোর্ট জমা করেন না। এর ফলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে দোকান মালিক বা ব্যবসায়ীরা নিজের ইচ্ছামতো স্টক পজিশন বলেন, যা তদন্তকারী বিমা কর্মকর্তারা গ্রহণ করেন না।এক. ভাই, আপনার ব্যবসায়িক পরিস্থিতির কথা শোনে সত্যিই খুব খারাপ লাগছে। কিন্তু আপনি আত্মহত্যার চিন্তা করছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক, কাপুরুষোচিত এবং পরাজিত পুরুষের চিন্তা। মানুষের জীবন, কর্ম এবং আয়-রোজগারে উত্থান-পতন আসতেই পারে। মাথা ঠাণ্ডা রেখে, ধৈর্য ধরে সততার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করাটাই প্রকৃত মানুষের কাজ। তাই আত্মহত্যার মতো গর্হিত চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন।

তিন. চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক সব ব্যাংকঋণের কিস্তি আদায় স্থগিত করেছে এবং কোনো ঋণকে নতুন করে শ্রেণিকৃত বা খেলাপি করা যাবে না মর্মেও নির্দেশনা দিয়েছে। তাই এই সময়ে ব্যাংক আপনাকে ঋণ পরিশোধে আইনত চাপ প্রয়োগ করতে পারে না।

চার. এরপরও ব্যাংক আপনার বিরুদ্ধে যত কঠোর ব্যবস্থাই নিক না কেন, আপনি ব্যাংককে সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব দেখাবেন। ব্যাংকের ফোন রিসিভ করবেন এবং নরম ও অনুগত আচরণ করবেন। কোনো কিস্তি পরিশোধ করতে না পারলে বা কোনো নির্দিষ্ট তারিখের পরিশোধের কমিটমেন্ট রক্ষা করতে না পারলে ওইদিন ব্যাংক থেকে ফোন আসার আগেই আপনি নিজেই স্বপ্রণোদিত হয়ে ব্যাংকে ফোন করে তাদের নিজের অবস্থান তুলে ধরবেন। নিজের অক্লান্ত চেষ্টার কথা বলে তাদের আশ্বস্ত করবেন। মনে রাখবেন, পালিয়ে বেড়ানো বা ব্যাংক কর্মীদের এড়িয়ে চললে আপনার বিপদ বাড়বে বৈ কমবে না, বরং ব্যাংককে সহযোগিতা করলে ব্যাংকও আপনার প্রতি সদয় হওয়ার চেষ্টা করবে।

পাঁচ. মামলা থেকে বাঁচতে এককালীন ডাউনপেমেন্ট (বকেয়া কিস্তির ১৫ শতাংশ বা মোট পাওনা টাকার ১০ শতাংশের মধ্যে যেটি কম সেই পরিমাণ নগদ অর্থ) জমা করে ঋণটি পুনঃতফসিল করিয়ে নিতে পারেন। এতে পরিশোধের বাড়তি সময়ও পাবেন, ঋণের কিস্তিও ছোট হয়ে আসবে।

ছয়. আপনি এখন কী করছেন সেটা বলেননি। আপনার ব্যবসা সম্ভাবনাময় হলে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ব্যাংককে আরও কিছু টাকা ঋণ দিয়ে ব্যবসাটি নতুন করে দাঁড় করানোর সুযোগ করে দিতে অনুরোধ করুন।

আরও দেখুন:
জেনে নিন যে ১০টি ভুলে পারসোনাল লোন হয় না
জামানত নিয়ে ব্যাংকের বিড়ম্বনা ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা
ঋণ খেলাপিদের সামাজিকভাবে বয়কট করুন

সাত. আগের ব্যবসা বা বর্তমানে অন্য যে কর্মই করেন না কেন, বেশি বেশি করে পরিশ্রম করে ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করার চেষ্টা চালিয়ে যান।

আট. নিয়মিত পূর্ণ কিস্তি পরিশোধ করতে না পারলেও, কিস্তি দেয়া একেবারে বন্ধ করবেন না। মনে রাখবেন, আপনার ছেলেমেয়ের অন্নের ব্যবস্থা করা যেমন আপনার দায়িত্ব, ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করাও আপনার দায়িত্ব। ব্যাংকঋণের দায়কে কখনোই গৌণ মনে করবেন না। ১০০ টাকা আয় করতে পারলে এর একটি অংশ দিয়ে যেমন পরিবারের ব্যয় নির্বাহ করবেন, আরেকটি অংশ দিয়ে ঋণ পরিশোধ করবেন, হোক সেটা ৫ টাকা। অভাব যত বেশি আর কঠিনই হোক না কেন, কখনোই নিজের আয়ের পুরো টাকাই নিজের সংসার খরচে ব্যয় করবেন না। অর্থাৎ আপনার আয়ের একটি অংশ ব্যাংকের জন্য অবশ্যই বরাদ্দ রাখবেন, সেটা অতি সামান্য হলেও।

নয়. ভালো ঋণখেলাপিরা টাকা পরিশোধ ছাড়াও ব্যাংককে সহযোগিতা করতে পারে। আপনার জন্য লাখ টাকা জমা দিয়ে ঋণ পরিশোধ হয়তো সম্ভব না-ও হতে পারে, কিন্তু কয়েকশ বা কয়েক হাজার টাকা খরচ করে ঋণসংক্রান্ত ডকুমেন্টস হালনাগাদ করে দেয়া আপনার পক্ষে নিশ্চয় সম্ভব। কিন্তু এ সম্ভব ও সহজ কাজটিও অধিকাংশ ঋণখেলাপি গ্রাহকরা করেন না। খেলাপি হয়ে গেলে তারা ব্যাংকের সঙ্গে অমাবস্যার চাঁদের মতো আচরণ করেন। ফলে ব্যাংকের কাছে তারা হয়ে ওঠেন খেলাপি এবং একইসঙ্গে অসহযোগী গ্রাহক। অডিট আপত্তি নিরসনে বা ব্যাংকের চাহিদা মতো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, যেমন ট্রেড লাইসেন্স, টিআইএন সনদ, বন্ধকি সম্পত্তির খাজনা ও হোল্ডিং কর পরিশোধের রসিদ, মেয়াদোত্তীর্ণ ভাড়া চুক্তি নবায়ন করে তার হালনাগাদকৃত কপি ব্যাংকে জমা দিয়ে ঋণ নথির ডকুমেন্টস হালনাগাদ রাখতে ব্যাংকারকে সহযোগিতা করলে ব্যাংকার আপনার প্রতি অবশ্যই নমনীয় ও মানবিক আচরণ প্রদর্শন করবেন।

দশ. ব্যাংক যখন বোঝতে পারবে, আপনি ঋণ দেয়া একেবারে বন্ধ করেননি, নিজে ১০ টাকা কামালে ২ টাকা অবশ্যই ব্যাংকে জমা করছেন, অতি সামান্য হলেও নিয়মিত টাকা দিয়ে যাচ্ছেন, তখন ব্যাংক নিশ্চয় আপনাকে সময় দিয়ে সহযোগিতা করবেন।

এগার. ঋণ পরিশোধের তাগিদ দিতে ব্যাংকাররা আপনার বাড়িতে বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গেলে তাদের সুন্দরভাবে রিসিভ করবেন এবং তাদের প্রতি সদাচরণ করবেন এবং সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব দেখাবেন।

বারো. পালিয়ে বেড়াবেন না। ব্যাংকারের ফোনকল ডিক্লাইন করবেন না বা আনঅ্যাটেন্ডেড রাখবেন না। ব্যাংকের ফোন কলগুলো অবশ্যই রিসিভ করবেন। নিজ থেকে নিয়মিত ফোন করে নিজের অবস্থা ব্যাংককে অবগত করবেন, যেন ব্যাংকের মাঝে কখনও এমন ভাবনা কাজ না করে যে, আপনি উধাও হয়ে যাচ্ছেন বা উধাও হয়ে গেছেন। ম্যানেজার বা ক্রেডিট অফিসার ব্যাংকে আসতে অনুরোধ করলে, আপনি ব্যস্ত থাকলেও শাখায় এসে তাদের সময় দেবেন এবং নিজের অবস্থান ও অগ্রগতি তুলে ধরবেন। ব্যাংকের চায়ের দাওয়াত বা ক্লোজিং ফিস্টের দাওয়াতের মতো অনুষ্ঠানগুলো মিস করবেন না। অর্থাৎ সবসময় এবং সব পরিস্থিতিতে ব্যাংকের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করবেন।

তের. কোনো মিথ্যা অঙ্গীকার করে কিংবা ঋণ পরিশোধের মিথ্যা তারিখ দিয়ে আপনার ব্যাংকারকে বিভ্রান্ত করবেন না। সবসময় প্রকৃত অবস্থাই তুলে ধরবেন।

চৌদ্দ. আপনার মধ্যে যদি পরিশ্রম ও সততা থাকে, তাহলে অবশ্যই আপনি একদিন এই বিপদ থেকে বেরিয়ে যাবেন। তাই চেষ্টা করুন, নিজের আত্মীয়, ভাইবন্ধুদের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নিয়ে হলেও ব্যবসাটা চালিয়ে যেতে।

পনের. বর্তমান ব্যবসার পাশাপাশি স্বল্প পুঁজির অন্য কিছু করারও চেষ্টা করুন, যেমন- গরু মোটাতাজাকরণ। বর্তমানে অনলাইনভিত্তিক ই-কমার্সে অনেকেই শাইন করছে। ডেলিভারি ম্যানরাও মাসে ২০-২৫ হাজার টাকা আয় করতে পারে। চেষ্টা করে দেখুন, নিজের ব্যবসাকে অনলাইনের মাধ্যমেও বিস্তৃত করতে পারেন কি না।

ষোল. দেরি না করে ব্যবসাটি আবার শুরু করার বা চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন। আর ব্যবসাটি যদি বর্তমানে না-ই থেকে থাকে, বা চালিয়ে নেওয়া সম্ভব না-ই হয়, তাহলে অন্য কোনো সৎ পেশায় লেগে যান, হোক সেটা সাধারণ, হোক সেটা খুব ছোট।

সতের. ব্যাংকে আসা-যাওয়া বন্ধ করবেন না। নিয়মিত ব্যাংকে আসার চেষ্টা করবেন। ঋণের টাকা দিতে না পারলেও অন্যান্য ব্যাংকিং সেবার জন্যও আপনি আপনার এই ব্যাংককেই ব্যবহার করবেন। যেমন বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল ইত্যাদি পরিশোধ করতে এবং অন্য যে কোনো ব্যাংকিং প্রয়োজনে এ ব্যাংকটিকেই ব্যবহারের চেষ্টা করুন।

আঠার. ব্যাংকের একজন শুভাকাংক্ষী হিসেবে কাজ করুন। ব্যাংকের আমানত ও ব্যবসা বাড়াতে সহযোগিতা করতে পারেন। নিজের পরিচিত ও কাছের জনদের এই ব্যাংকে আমানত রাখতে, হিসাব খুলতে এবং সেবা নিতে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন এবং ব্যাংকের কাছে আপনার এ প্রচেষ্টাকে দৃশ্যমান করারও চেষ্টা করুন।

উনিশ. ব্যাংকঋণের বিপরীতে কোনো সম্পদ-জামানত বন্ধক দেয়া থাকলে ব্যাংকের মধ্যস্থতায় তা বিক্রির চেষ্টা চালিয়ে যান। কারণ বন্ধকি সম্পত্তির নিলাম হলে আপনার সম্পদও যাবে, সঙ্গে আপনার সম্মানেরও হানি হবে। তাই বন্ধকি সম্পত্তি অথবা ঋণ পরিশোধে সক্ষম এমন দায়মুক্ত অন্য কোনো সম্পত্তি থাকলে তা বিক্রির চেষ্টা চালিয়ে যান। আপনি বেঁচে থাকলে এমন সম্পদ আবার জুটাতে পারবেন। কিন্তু মামলা-মোকদ্দমা হলে এবং জেল-জরিমানা হলে আপনার সম্মানের যে হানি হবে তা আর ফিরে পাবেন না।

বিশ. আল্লাহর ওপর ভরসা রাখুন, ইমানের সঙ্গে চেষ্টা চালিয়ে যান। আল্লাহ নিশ্চয় আপনার সহায় হবেন। আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা থাকল।

লেখকঃ মোশারফ হোসেন, শাখা ব্যবস্থাপক, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড, পাকুন্দিয়া শাখা, কিশোরগঞ্জ। লেখক একজন স্বনামধন্য ব্যাংকার, কলামিস্ট ও ফ্রিল্যান্স লেখক।

একটি মন্তব্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button