ব্যাংক নোট

জাল টাকা চেনার সহজ উপায়

আজ আমরা জানব জাল নোট চেনার সহজ উপায়। কারন টাকা হলো মানুষের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ন অংশ। আশা করছি সবার কাজে লাগবে। এক হাজার টাকার নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য ১৩টি, তন্মধ্যে ৫০০ টাকার ক্ষেত্রে প্রথম ১১টি প্রযোজ্য। এগুলো হলোঃ

১) রং পরিবর্তনশীল হলো গ্রাফিক সুতা
২) অসমতল ছাপ
৩) রং পরিবর্তনশীল কালি
৪) উভয়দিক থেকে দেখা
৫) অন্ধদের জন্য বিন্দু

৬) জলছাপ
৭) এপিঠ-ওপিঠ ছাপা
৮) অতি ছোট আকারের লেখা
৯) লুকানো ছাপা
১০) সীমানা বর্জিত ছাপা
১১) পশ্চাত্ মুদ্রণ
১২) নম্বর
১৩) ইরিডিসেন্ট ও স্ট্রাইপ।

নকল টাকার নোট সাধারণ কাগজে তৈরি হয় বলে নরম ধরনের নোট হয়। আসল টাকা বিশেষ ধরণের কাগজে তৈরি তাই একটু শক্ত হয়। নকল নোটে জলছাপ অস্পষ্ট ও নিম্নমানের হয়। আসল নোটে ‘বাঘের মাথা’ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘মনোগ্রাম’ এর স্পষ্ট জলছাপ রয়েছে। উভয়ই আলোর বিপরীতে দেখা যাবে।

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

আসল টাকা বিশেষ নিরাপত্তামূলক কালিতে ছাপা হয়। এই কালি হাত দিয়ে স্পর্শ করলে উঁচু-নিচু অনুভূত হয়। নকল নোটে হাতের স্পর্শে উঁচু-নিচু বা অসমতল মনে হবে না। আসল নোটে টাকার অঙ্ক লিখতে হলোগ্রাম কালি ব্যবহার করা হয়েছে। টাকা নাড়াচাড়া করলে টাকার অঙ্কের রঙ পরিবর্তন হয়। লেখার ওপর সরাসরি তাকালে গাঢ় গোলাপি বা লালচে এবং তির্যকভাবে তাকালে সবুজ সোনালি রং দেখা যাবে। নকল বা জাল নোটে রঙ পরিবর্তন দেখা যায় না।

ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়ে দেখলে স্পষ্ট দেখা যায় টাকার গায়ে ‘Bangladesh Bank’ লেখাটি অতি ক্ষুদ্র আকারে যা খালি চোখে দেখা যায় না। নকল নোট ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়ে দেখলে শুধু একটা রেখা দেখা যাবে। আসল নোটে চার মিলিমিটার চওড়া নিরাপত্তা সুতাটি সামনে-পেছনে সেলাই করার মতো রয়েছে। কিন্তু পেছনের দিকে সুতাটি কাগজের ভেতরে অবস্থিত। নোটটি নাড়াচাড়া করলে সুতায় বিভিন্ন রং দেখা যাবে।

আলোর দিকে ধরলে উভয় দিক থেকে সুতাটিতে ‘বাংলাদেশ’ লেখা শব্দটি উল্টা ও সোজাভাবে পড়া যাবে। নকল নোটে এতো নিখুঁত ভাবে সুতাটি দিতে পারেনা। আসল নোটের বাম কিনারে বিশেষ ডিজাইন ছাপানো। নোটটি মোড়ানো হলে ডান কিনারের নকশার সাথে মিলে পূর্ণাঙ্গ ডিজাইন হবে। নকল নোটে এ রকম মেলানো বেশ কঠিন।

নকল নোট হতে সাবধানে থাকুন। নিজে চিনুন অপরকে সহায়তা করুন। জাল নোট সনাক্তকরণে আপনাদের জন্য দুটি ভিডিও সংগ্রহ করেছি। ভিডিও দুটি দেখলে ক্লিয়ার বুঝতে পারবেন। ভাল থাকবেন। আল্লাহ হাফিজ।

জাল নোট চেনার সহজ উপায় ১

জাল নোট চেনার সহজ উপায় ২

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button