ব্যাংকার

একজন ব্যাংকার হিসেবে গর্বিত

মাঝে মাঝে (বিশেষ করে ঈদ সংশ্লিষ্ট সময়ে) দেখি ফেসবুক জুড়ে ব্যাংকারদের নানা রকম হা-পিত্যেশ। ব্যাংকারদের কোন সামাজিক জীবন নেই, কাজের চাপে সর্বক্ষণ পিস্ট, সংসারে সময় দিতে পারেন না, বেতনে পোষায় না-হেন তেন!!

আমি নিজেও একজন ব্যাংকার, তাই দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে বলতে পারি এই সকল কথাবার্তার শতকরা নিরানব্বই ভাগই মিথ্যায় ভরপুর, শুধু শুধু প্যানিক সৃষ্টি করার অপচেষ্টা এবং নিজেদেরকে সমাজের চোখে অহেতুক ছোট করার এক নগ্ন প্রয়াস মাত্র!

প্রথমে আসি বেতন বোনাস প্রসঙ্গে
বাংলাদেশের সরকারী বেসরকারী যে কোন চাকুরিজীবীর বেতনের চেয়ে ব্যাংকারদের বেতন বেশি- এটা সকলেই প্রায় এক বাক্যে স্বীকার করবেন। এর সাথে ইনসেনটিভ বোনাস, ফেস্টিভাল বোনাস, বছর বছর ইনক্রিমেন্ট, নিয়মিত পে-স্কেল, প্রমোশন প্রভৃতি মিলে এক জায়ান্ট- ব্যাংকারদের বেতনাদি। আমি আমার নিজের কথাই বলতে পারি- আমি যে বেতনে জয়েন করেছি- মাত্র চার বছরে সেটা আড়াই গুণ হয়েছে। তাহলে অন্যদের কথা ভাবুনতো!

এখন আসুন- কাজের চাপ প্রসঙ্গে
আমাদের কাজের চাপ কি একজন ডাক্তার বা পুলিশ অফিসারের থেকে বেশি? আমাদের দ্বায়িত্ববোধ কি একজন জজ, একজন ডাক্তার বা একজন শিক্ষকের চেয়ে খুব বেশি নিতে হয়?

ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন।

কথার কথা বলি কেউ মাইন্ড কইরেন না- একজন ট্রাফিক পুলিশ, একজন গাড়ির ড্রাইভার, একজন এডভোকেট যে পরিমাণ Mental এবং Physical প্রেসার এ থাকেন- আমাদের কি এসি রুমে বসে অফিস করে সেরকমভাবে প্রেসারে থাকতে হয়?

আমরা যদি রাত নয়টা পর্যন্ত ও অফিস করি- তবুও অফিস থেকে বের হয়ে আমরা যথেষ্ট সামাজিক জীবন পাই, সপ্তাহে দুইদিন ছুটি পাই, এছাড়া ও অন্যান্য ছুটি নিতে পারি (শর্ত প্রযোজ্য)।

তারপর আসে- পেশাগত সম্ভ্রমের কথা
ব্যাংকারদের পদমর্যাদা (কি ইনহাউস বা আউটহাউস) সবসময় একটা স্বকীয়তা বজায় রাখে। একজন উর্ধতন কর্মকর্তা ও (ধরা যাক একজন ডিএমডি) একজন জুনিয়র অফিসারকে Compliance এবং Regulation এর বাহিরে কোন অর্ডার করেন না, চাইলেও করতে পারবেন না।

এই সিস্টেম এমনই Chain of Command এবং Professionalism মেইনটেইন করে চলে। ব্যাংকারদের গাড়ি বাড়ির জন্য আলাদা করে চিন্তা করতে হয় না, আলাদা করে সঞ্চয় করতে হয় না। বাচ্চাদের পড়াশোনা, বিয়ে-শাদী কিছুই আটকে থাকে না আল্লাহর রহমতে।

এতো কিছুর পরও যারা ফেসবুকে এবং ঘরোয়া আড্ডায় বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন- “তারা দয়া করে ক্ষান্ত হোন”! প্রতিষ্ঠান, সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধ হোন!

সর্বোপরি- আল্লাহ্‌র শোকরগুজার বান্দা হোন! আর যদি মনে করেন ব্যাংকের চাকুরী আসলেই একটা প্যারা তাহলে আল্লাহ তায়ালার উপরে ভরসা করে অন্য চাকুরীর চেষ্টা করুন তাহলেই সব প্যারা থেকে মুক্তি পাইবেন।

ব্যাংকের চাকুরী পাওয়ার পরেই সবার কাছে প্যারা মনে হয় বুঝতে পারছি তাহলে প্রতি শুক্রবার যারা ব্যাংকের চাকুরীর জন্য ঢাকা শহরে জিহাদে অংশ নিচ্ছে তাদের কথাই ভাবুন!!

সৌজন্যে: মুহিউদ্দীন ফাহিম

একটি মন্তব্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রিলেটেড লেখা

Back to top button